নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোরে ট্রাফিক বিভাগের চাঁদায় ওঠা টাকা ভাগাভাগি নিয়ে টিআই ও ট্রাফিক সার্জেন্টদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে টিআই ও দুই সার্জেন্টের মধ্যে দ্দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। প্রতি মাসে পরিবহন সেক্টর থেকে চাঁদায় উঠা লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের দুই পক্ষের মধ্যে এই অসন্তোষ চলছে।
নাটোর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আতাউর ও সার্জেন্ট মমিন খবর ২৪ ঘণ্টার ঘণ্টার কাছে অভিযোগ করে জানান, ট্রাফিক বিভাগের টিআই-১ বিকর্ণ চৌধুরী, টিআই মিনহাজ ও এটিএসআই রশিদ দালাল রাসেল নামের একব্যক্তির মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উঠায়। এই টাকার শতকার ১৫% সরকারী খাতে জমা দেয়া হয় ও বাকি টাকা টিআই পুলিশ সুপারকে দিয়ে ভাগাভাগি করে নেয়।
সার্জেন্ট আতাউর আরো অভিযোগ করে বলেন, এটিএসআই রশিদ হাবিলদার পদমর্যদার হয়ে মামলা দেয়। আইন অনুযায়ী তিনি মামলা দিতে পারেন না। আমরা কোন গাড়ী ধরলে এটিএসআই রশিদ ফোন করে বলেন, মিট আছে ছেড়ে দেন। না ছাড়তে চাইলে জোরপূর্বক ছাড়ার জন্য বলেন। এটিএসআই রশিদ, টিআই-১ এর লোক হওয়ায় আমাদের সাথে ভালো আচরণ করেন না। মর্যদায় ছোট হয়েও আমাদেরকেই হুকুম করেন। টিআই-১ স্যার তাকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
খবর ২৪ ঘণ্টার এক প্রশ্নের জবাবে সার্জেন্ট আতাউর ও মমিন বলেন, টিআই-১ স্যার এটিএসআই রশিদকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এজন্য তিনি বেপরোয়া। অন্যদিকে রাসেল নামের এক দালালকে দিয়ে প্রতি মাসে বিভিন্ন রুট থেকে আসা গাড়ীর কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা উঠিয়ে দেয়। এ বিষয়টি স্থানীয়রাও জানেন। রাসেলকে চালকরা দালাল হিসেবেই চেনেন। শুধু চালকরাই নন স্থানীয় মানুষজন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত।
খবর ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাদের বিরুদ্ধেও তো অভিযোগ রয়েছে আপনারা চাঁদাবাজি করেন ও চালকরা আপনাদের নিয়ে আতঙ্কে থাকেন তাহলে আপনি টিআই’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, টিআই স্যার আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে টিআই-১ বিকর্ণ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যা। দুই সার্জেন্ট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি অনিয়মের সাথে জড়িত না।
এদিকে, খবর ২৪ ঘন্টার পক্ষ থেকে যাতে সংবাদ প্রকাশ না করা হয় এজন্য টিআই-১ ও দুই সার্জেন্টের পক্ষ থেকে তদবির করা হয়। দুই সার্জেন্ট মমিন ও আতাউর খবর ২৪ ঘন্টার রাজশাহীস্থ অফিসে গিয়েও সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তদবির করেন। এ বিষয়ে নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। (পর্ব ১) জেএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।