নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার ছাতনীর বারোঘরিয়ায় মাদক বিরোধী অভিযানের নামে টাকা লুটের অভিযোগের শালিস চলাকালে এক আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্রলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন। শালিসে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা এমরান হোসেনকে কোন দন্ড না দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যদিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। শনিবার রাতে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান আলী সদর থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদকে সাথে নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ী আইয়ুুব
মন্ডলের বাড়ি তছনছ করে টাকা লুট করেন এই মর্মে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালামকে পরদিন সকালেই পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। সোমবার ছাতনীর বারঘরিয়া স্কুল মাঠে আইয়ুব মন্ডলের বাড়ির ঘটনার বিচারে এক শালিস বসানো হয়। ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায়
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল সরকার, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক পলাশ কুমার মন্ডল সহ প্রায় এক হাজার লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শালিসে বিশৃঙ্খলা শুরু হলে পলাশ কুমার মন্ডল দাঁড়িয়ে লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করতে চেষ্টা করলে শালিসের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সহ তাঁর সমর্থকরা তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। পরে পলাশ ও তাঁর সমর্থকরা শালিস ছেড়ে চলে যান তবে তারপরেও শালিস চলেছে।
শালিসে ইউপি সদস্য এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে সভায় সিদ্ধান্ত হয় তাঁকে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি আইয়ুব মন্ডল সহ সবার কাছে ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করলে তাকে পাঁচ হাজার টাকার জরিমানা দিয়ে মুচলেকা সম্পাদন করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পলাশ কুমার জানান, শালিসের সভাপতি সহ আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের পক্ষ নিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করেছেন। তিনি প্রতিবাদ করলে আওয়ামী লীগ
নেতা তোফাজ্জল ও তাঁর লোকজন তাকে পিটিয়ে জখম করেছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। তবে তোফাজ্জল হোসেন পক্ষপাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু পরিস্থিতি শান্ত করতেই পলাশকে থাপ্পড় মেরেছি কারণ সে শালিস পন্ড করার চেষ্টা করছিল। বাড়ি লুটের ঘটনা নিয়ে তিনি কেন শালিস করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমার পরিষদের সদস্য তাই এলাকায় বিচার করেছি। পুলিশের বিচারের কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেটাতো পুলিশের বিভাগীয় ব্যাপার।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন