নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম পরিদর্শন ও ঔষধী গাছ চাষিদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম পরিদর্শন করেন নাটোর- নওগাঁ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহম্মেদ। এই গ্রামে প্রায় ২০০ প্রজাতির ঔষধী উদ্ভিদ রয়েছে। এখানে চাষ হয় শিমুলমূল, অশ্বগন্ধা, শতমূল, বাসক, তুলসী, কালমেঘ, ভুইকুমড়া, মিশ্রিদানা, হস্তিকর্ণ, বার্লিকমূল সহ বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধী গাছ । এই সকল ঔষধী গাছের সাথে তিনি পরিচিত হন। পরে বিকালে তিনি আমিরগঞ্জ বাজারে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। অনুষ্ঠানে খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতি হিসাবে সংসদ সদস্য রত্না আহম্মেদ বক্তব্য দেন। এসময় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি আলী আজগর খোকন, খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধার সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমবায় অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, টলটলিয়া পাড়া সরকারি প্রাঃ বিঃ সহকারী শিক্ষক হাসিবুল হাসান সহ স্থানীয় ঔষধী গাছ চাষি কৃষক, সমবায় সমিতির সদস্য বৃন্দ । অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য রত্না আহম্মেদ খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ কে ১ লক্ষ টাকা, স্থানীয় ঈদগাহ মাঠকে ১ লক্ষ টাকা অন্যান্য ৮টি প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ টাকা আর্থিক অনুদান দেয়ার ঘোষনা দেন এবং খোলাবাড়িয়া ঔষধী গ্রাম উন্নয়ন, স্থানীয় ঔষধী গাছ চাষি কৃষকদের পণ্য সংরক্ষনের জন্য হিমাগার তৈরীর জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। প্রায় বিশ বছর পূর্বে আফাজ উদ্দিন পাগল নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমেই ঔষধী গ্রামের গোড়া পত্তন ঘটে। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি প্রজাতির ঔষধী উদ্ভিদ দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ঔষধী গাছের প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অধিকাংশ কৃষিজমি ও বাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশে ব্যাপক হারে বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঔষধীজাত গাছ গাছড়ার চাষাবাদ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করছেন স্থানীয় ঔষধী গাছ চাষি কৃষকরা ।
খবর২৪ঘন্টা/নই