নাটোর প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় নাটোরেও বন্ধ হতে শুরু করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হোটেল-রেস্তোরাঁ। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন নিু আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিকরা। অসহায় এসব মানুষকে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করাসহ ১০ দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন সম্প্রীতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কতৃপক্ষ।
সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টুটুলএবং নাটোর জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ স¤পাদক সাগর ইসলামের উদ্যোগে বুধবার সকালে এক শতাধিক হতদরিদ্র-দিনখেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী নাসিম উদ্দীন নাসিম এবং খান মামুনের নেতৃত্বে নেতৃত্বে দুই সদস্যের ৫ টি গ্র“পে ভাগ হয়ে শহরের ষ্টেশন বাজার,আলাইপুর,কান্দিভিটুয়া,কানাইখালী এলাকার দিনমজুর পরিবারগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দেয় । দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে খাদ্য সামগ্রীসহ ১০ ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে সুবিধাভোগীদের মাঝে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অভাবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোকে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছে সচেতনরা।
জানা যায়, বিতরন করা খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি সয়াবিন তেল, ১ কেজি মসুরের ডাল, একটি কাপড় কাচা সাবান, একটি ডেটল সাবান, একটি সায়েন্টিফিক মাস্ক, একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সচেতনতামূলক লিফলেট। যা নাটোরের ছিন্নমূল, বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, চায়ের দোকানদারসহ হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরন করা হয়। সম্প্রীতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টুটুল বলেন,বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। সরকার ইতোমধ্যে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এতে করে দিন খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়বেন। তাদের মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। হতদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে আমার প্রতিষ্ঠান সম্প্রীতির উদ্যোগে ১০০ দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছি। প্রতিটি প্যাকেট ৮শ টাকা মূল্যে খাদ্য সামগ্রীসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। দেশের একটি সংকটময় মুর্হুতে আমি দেশের বড় বড় এনজিও ,কো¤পানীর মালিক, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো তারা যেন মধ্যে হতরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
নাটোর জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ স¤পাদক সাগর ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার ১০ দিন ঘর থেকে বাহিরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ অবাধে চলাফেরার কারণে করোনার প্রার্দূভাব বেড়ে পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে। অসহায় মানুষরা এই ১০ দিনের খাদ্য মজুদ করতে পারেনি। তারা কাজের সন্ধানে বের হলে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তা মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।এই প্রেক্ষিতেসম্প্রীতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি উদ্যোগে ১০০ হতদরিদ্রদের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি। সংগঠনের কর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা সংগঠক ও সদস্যরা স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। করোনা মোকাবেলায় নাটোরসহ দেশবাসীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
খবর২৪ঘন্টা/নই