1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
নাটোরে ক্রমেই বাড়ছে তামাকের চাষ, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

নাটোরে ক্রমেই বাড়ছে তামাকের চাষ, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ মারচ, ২০২০

রাশেদুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে আবাদি জমিতে তামাকের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । আইন অনুযায়ী তামাক চাষ নিয়ন্ত্রনের কথা থাকলেও সরকারী উদ্যোগে সে আইন অনুযায়ী প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। এতে বাড়তি লাভের আশায় এই অঞ্চলের কৃষকরা ধান সহ অনান্য ফসলের বদলে তামাক চাষে ঝুঁকছে ।
টোব্যাকো কোম্পানির সহযোগিতায় পরিবেশ ও কৃষি সহ স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকা শর্তেও উপজেলা জুড়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে এই অঞ্চলে তামাক চাষ । চাষীরা তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ায় কমছে ধান সহ অনান্য ফসলের আবাদ ও উৎপাদন। তামাক পুড়ানোর জন্য কৃষকের বাড়ীতে-বাড়ীতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ধরণের চুল্লি। এই সকল চুল্লিতে জ্বালানো হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন গাছের কাঠ সহ জুট। তামাক পুড়ানোর চুল্লির কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপদর্যয়ে পড়চ্ছে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

লালপুর কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত বছরে এই উপজেলায় প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হয়েছিলো । চলতি মৌসুমেও প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । তবে কৃষকদের হিসেব অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এই মৌসুমে অনেক বেশি জমিতে তামাকের চাষ হয়েছে । এভাবে প্রতি বছরেই এই অঞ্চলে তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা।

লালপুর সরজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, গন্ডবিল, বাঁশবাড়ী, সালামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় সমকালীন ফসলের পাশা-পাশি চাষ হচ্ছে তামাক। তামাকের জমি গুলিতে আগাছা ও পোকামাকড় দমনে ব্যাবহার করা হচ্ছে কীঁটনাশক। জমির পাশা-পাশি লোকালয়ে ও কৃষকের বাড়ীতে তামাক পুড়ানোর জন্য কোথাও কোথাও প্রস্তুত করা হচ্ছে বিশেষ চুল্লি । এসময় তামাক চাষীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, জমিতে আগের মত ধান বা আনান্য ফসলের চাষ হয়না । উৎপাদিত শস্যের নায্য মুল্য না পাওয়ার জন্য আমরা প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
ঢাকার টোব্যাকো তামাক কোম্পানী থেকে অগ্রিম ঋণ পাওয়ার জন্য আমরা তামাকের চাষ করচ্ছি ।

পরিবেশ ও স্বাস্থ্যর ক্ষতি হয় যেনেও কেন আপনারা তামাক চাষ করছেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, তামাক উঠানোর পরে পাটের চাষ করা হয়, ফলে কোন আবাদে ক্ষতি হয় না। সমকালিন ফসল চাষ করে খরচের টাকা উঠেনা। অধিক লাভের আশায় ও সংসারের ঘাটতি পূরণের জন্য তামাকের চাষ করছি ।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ায় কৃষকরা তামাক চাষে ঝুঁকছেন ।

তিনি আরো বলেন আমরা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের কে তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে কাজ করছি। তার পরেও অনেক কৃষকই লাভের আশায় তামাক চাষ করছেন ।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST