নাটোর সদর হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নাটোরের ৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মোট মৃত্যু ৭ জন। তাছাড়া নাটোরে করোনয় মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সদর হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে। তাদের সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে না। আবার অনেকেই জ্বর, শ্বাসকষ্টে নিজ বাড়িতেই অক্সিজেন সাপোর্ট নিচ্ছেন কিন্তু বেশি সিরিয়াস হয়ে গেলে হাসপাতালে নেবার আগেই মারা যাচ্ছে তারাও সরকারি তালিকার বাহিরে থেকে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শহরের আলাইপুরস্থ মৌসুমি নামে এক গৃহবধূ কিছুদিন যাবত জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছিলেন। তিনি বাড়িতেই অক্সিজেন সাপোর্ট নিচ্ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতে রোগিনীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে মৃত্যুবরন করেন। পরে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তাছাড়া শুক্রবারে নাটোরের হোটেল ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম পচু ও তার ভাই জাহাঙ্গীর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের নামও তালিকায় উঠে নাই।
এব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, তারা করণা আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা সে তথ্য বা সিরিয়াল নম্বর সহ সরকারি তালিকায় তাদের নাম এখনো আসেনি। নাম আসলে আমরা সেটা তালিকায় তুলব। যারাই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাক তাদের সবার নামই সরকারি তালিকায় উঠবে।
পূর্বের মতো শুক্রবারেও নাটোরে কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি। তবে নাটোর সদর হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি হিসাবে জেলায় মোট মৃত্যু ৬৬ জন। মোট সনাক্ত ৪৮৯৩ জন। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২৬৬৩ জন।
এস/আর