নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরে অস্ত্র মামলায় রাসেল আহম্মেদ ওরফে তামিম (২৩) নামে এক জেএমবি সদস্যকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মোফাজ্জল হোসেন (৩১) নামে অপর একজন জেএমবি সদস্যকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত রাসেল আহম্মেদ ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই গ্রামের মোঃ ইউনুস আলীর ছেলে। আর খালাস প্রাপ্ত মোফাজ্জল নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার চকবিষ্টুপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ওরফে আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিউকিটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল হাই এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার বরাত দিয়ে জানান, রাসেল ও মোফাজ্জল হোসেন দুইজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে নাটোর শহরতলীর বনবেলঘড়িয়া এলাকায় কয়েক জন জেএমবি সদস্য অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে র্যাব- ৫ এর বাগমারা ক্যাম্প ইনচার্জ ডিএডি মোহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সদস্য সেখানে অভিযান চালান। এসময় দুপুর ১২টার দিকে একটি ইটভাটার সামনে থেকে তাদের দুইজনকে আটক করেন এবং অন্যরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আটককৃত রাসেলের কমড় থেকে একটি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন ও ১ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। পরে সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাটি রুজু করা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এই রায় দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার নাটোরে রাসেল ওরফে তামিম এবং মোজাম্মেল নামে ওই ২ জেএমবি সদস্যকে ২০ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও সন্ত্রাস মূলক কর্মকান্ডের পৃথক ধারায় তাদের ২০ বছর করে কারাদন্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকা থেকে একটি পিস্তল জেএমবির বিভিন্ন ডুকুমেন্ট ও নগদ টাকা সহ রাসেল ওরফে তামিম ও মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করে র্যাব-০৫। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ওই দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয়। আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে সোমবার দুপুরে এ রায় দেন। রায়ের সময় অভিযুক্ত দুইজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ