নাটোর প্রতিনিধি: দূর্বত্তায়ন ও লাইনচ্যুতির কারণে সারাদেশে বছরে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি ট্রেন দূর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকা। আবার কারো কারো প্রাণও চলে যায়। সম্প্রতি ট্রেন দূর্ঘটনা রোধে সিগন্যাল ট্রান্সমিটার আবিস্কার করেছেন নাটোরের সিংড়া পৌর এলাকার গোডাউন পাড়া মহল্লার মৃত রওশন আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিঠুন।
মিঠুনের আবিস্কৃত সিগনাল ট্রান্সমিটার আগেই জানিয়ে দিবে দূর্বত্তায়ন ও লাইনচ্যুতির খবর। মিঠুনের দাবী দূর্বত্তায়ন ও লাইনচ্যুতির কারণে স্লিপার কিংবা পাটাতন বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকলে আগেই জানিয়ে দিবে এই ট্রান্সমিটার। আর এতে ট্রেন দূর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবে যাত্রী সাধারণ।
তিনি জোর দাবী করে বলেন, আমার এই আবিস্কৃত সিগনাল ট্রান্সমিটার প্রতিটা ষ্টেশনে ব্যবহার করলে ট্রেন দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, একদিন ট্রেনে ভ্রমনকালীন সময়ে মনে হয়েছিল দূর্বত্তায়ন ও লাইনচ্যুতির কারণে দেশে অহরহ ট্রেন দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। তাই ট্রেন দূর্ঘটনা রোধে মনে মনে ভাবতে থাকি। বাড়ি ফিরে গবেষনা করতে থাকি কি করে এই ট্রেন দূর্ঘটনা রোধ করা যায়।
দীর্ঘদিন চেষ্টার ফলে সম্প্রতি আবিস্কার করতে পেরেছি সিগনাল ট্রান্সমিটার। তার দাবী সংবাদ পত্রের হিসাবনুযায়ী বছরে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি ট্রেন দূর্ঘটনার শিকার হয়। আর এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় কয়েক কোটি টাকার। আবার কারো কারো প্রাণও চলে যায়। তাই দূর্বত্তায়ন ও লাইনচ্যুতির কারণে স্লিপার কিংবা পাটাতন বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকলে আগেই জানিয়ে দিবে এই সিগনাল ট্রান্সমিটার। তিনি আরো বলেন, সরকারী ভাবে আমাকে পরীক্ষামূলক সুযোগ দিলে শতভাগ বাস্তবে রুপ দেয়া সম্ভব। দেশ ও দেশের বাইরে প্রতিটা ষ্টেশনে এই সিগনাল ট্রান্সমিটার ব্যবহারে খরচ পড়বে মাত্র ৭০হাজার টাকা।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।