নাটোর প্রতিনিধ: নাটোরের কৃতি সন্তান ও বরণ্যে কথা সাহিত্যিক শফিউদ্দীন সরদার বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় শহরের শুকুলপটিস্থ নিজবাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন । (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)
মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪বছর । তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,চার ছেলে,৫মেয়ে,নাতি-নাতনী আত্বীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন ।
মরহুমের নামাজের জানাযা আজ বাদ মাগরিব শহরের গাড়িখানা গোরস্থান প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ।
তিনি ১৯৩৫ সালের ১লা নাটোর সদর উপজেলার হাটবিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ,বিএ অনার্স এবং এম এ ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রী লাভ করার পরে দেশে ফিরে নিজ গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করা শুরু করেন। এরপর এক এক করে তিনি রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী কলেজ আধ্যাপনা করেন। বানেশ্বর কলেজ ও নাটোর রানীভবানী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পযন্ত প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছুদিন রাজনীতি ও করেছেন। তার রচিত প্রথম সামাজিক উপন্যাস “চলনবিলের পদাবলী” দেশের কোন প্রকাশক প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তিনি
ঐতিহাসিক উপন্যাস সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকে তিনি একের পর এক রুপ নগরের বন্দী, বখতিয়ারের তলোয়াড়, গোড় থেকে সোনার গাঁ, যায় বেলা অবেলায়, বিদ্রোহী জাতক, বার পাইকার দুরগ, রাজবিহুংগ সহ ৪২ উপন্যাস রচনা করেন। ছড়া, কবিতা, গল্প, নাটক,প্রবন্ধ সহ সাহিত্য এর এমন কোন শাখা নেই যে তিনি বিচরণ করেন নি। এই গুনি লেখকের প্রত্যাকটি বই পাঠক প্রিয় । তিনিশ শওকত ওসমানের সম সাময়িক লেখক। সাহিত্য শাখায় বাংলাদেশে কাজ করেছেন, এমন উল্লেখ্য যোগ্য কয়েক জনের মধ্যে তিনি অন্যতম। বাংলার মুসলিম শাসনের হাজার বছরের গৌরব গাঁথাকে তিনি তার কলমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন