নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সকল ফার্মেসীতে গত এক সপ্তাহ থেকে স্কয়ারের সব ধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধ রেখেছে নাটোর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশন । নিষেধ অমান্য করে ওষুধ বিক্রি করলে ফার্মেসী মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষনা দেয়া হয়েছে।
রুগী, ওষুধ ব্যবসায়ী ও স্কয়ার কোম্পানী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাটোর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশন একটি জরুরী সভার আয়োজন করে। এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহরের মাদরাসা মোড়ের নূরুন্নেছা ফার্মেসীর মালিক গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক লীড মেডিসিন এর মালিক শফিকুল ইসলাম বেন্টু সহঅন্যান্য সদস্য সভায় অংশ নেয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, নাটোর সদরে স্কয়ার কোম্পানীর ঔষধ বিক্রি অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।
এসোসিয়েশনের এই নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা, দোকান বন্ধ করে দেয়া সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ফলে নাটোর সদরের রোগী এবং সাধারণ জনগন কোন ক্রমেই স্কয়ারের উৎপাদিত কোন জরুরী ওষুধ কিনতে পারছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাধারন ওষুধ বিক্রেতারা জানান, স্কয়ারের প্রায় ১৭০-১৮০ টি প্রোডাক্ট রয়েছে। এর মধ্যে সিভিট, এন্টাসিড, এন্টাসিড+, সেকলো, জিম্যাক্স, সিপ্রোসিন ৫০০, বি৫৪, নিওট্যাকসহ ০৯ টি ওষুধ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। নাটোর জেলায় প্রতিমাসে স্কয়ার প্রায় আড়াই কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করে।
১৮ জন বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে নাটোর জেলায় স্কয়ার তাদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। নাটোর জেলার সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী ফার্মেসী সমূহের মধ্যে অন্যতম শহরের মাদরাসা মোড় এলাাকায় অবস্থিত লার্জ ফার্মায় ওষুধ সরবরাহে দুঘন্টা দেরি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মাহতাব হোসেনের সাথে স্কয়ারের লোকজনের বির্তক হয়। এর জের ধরেই নানা অভিযোগ তুলে এই সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিয়ম অমান্য করলে অমান্যকারী ফার্মেসীকে ০৩ দিন দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হবে বলেও সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাধারন ক্রেতারা বলছেন, ঔষধ একটি অতিপ্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী উপাদান, নাটোর সদর উপজেলায় ছোট-বড়প্রায় ৫৫০ টিসহ জেলায় কয়েক হাজার ফার্মেসি রয়েছে যার মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে ঔষধ বিক্রয় করা হয়। স্কয়ারের ওষুধ বিক্রি বন্ধ রাখায় তারা বিপাকে পড়েছেন।
স্কয়ার কোম্পানীর নাটোরের টেরিটোরি ম্যানেজার তাপস কুমার বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সিনিয়রদের অনুমতি ছাড়া কথা বলা মুশকিল, তবে (আজ) মঙ্গলবার সমস্যার সমাধানের জন্য নাটোর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে স্কয়ারের উর্দ্ধতনদের মিটিং বসবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লীড মেডিসিন এর মালিক শফিকুল ইসলাম বেন্টু এই প্রতিবেদককে বলেন, স্কয়ার কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিদের ব্যবহার ভালো না, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া ওষুধ ফেরত নিতে গড়িমশি করা এবং নগদ টাকা ছাড়া ওষুধ সরবরাহ করে না, টাকা দিতে একটু দেরি হলে ওষূধ নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটায় তারা এমন সিন্ধান্ত নিয়েছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন