আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে দেশটির কেরালা রাজ্য সরকার। আইনটিকে তারা অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি করা আইনকে কোনোভাবে সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
তিনি বলেন, ‘কেরালার কাউকে এই আইন নিয়ে শঙ্কিত হতে হবে না। মানুষকে বিভাজিত করে সৃষ্ট এই আইন আমরা কোনোভাবেই রাজ্যে প্রয়োগ করব না।’
কেরালা মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার কারণে বিপুলসংখ্যক মুসলিম ভারতে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেটিকে এখন হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা করছে বিজেপি।’
কেরালার পাশাপাশি পাঞ্জাব সরকারও এই আইনের বিরোধিতা করেছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানান, বিধানসভায় এই বিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আনতে যাচ্ছেন তারা।
রাজ্যসভায় বিলটি পাশের পর প্রথমেই এর বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনটি তিনি রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বাসিন্দাদের।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি (সিএবি) সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাস হয়। এর দুদিন পরই বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরের পর এটি আইনেও পরিণত হয়ে গিয়েছে।
বিলটিতে কেন শুধু অ-মুসলিমদের (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধ) সুবিধা দেওয়া হলো, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা।
তাদের অভিযোগ, মুসলিমদের সঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে।
এর ফলে আরও মসৃণ হবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে থেকে তারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে বাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।