নাটোরের নলডাঙ্গায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর ভিডিও ধারন, অতঃপর বন্ধুদের ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণে উব্ধুদ্ধ করতো মিঠুন (১৮) নামে যুবক। পরে ফের ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আরো ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে উপজেলার মোমিনপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরআগে দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে একটি আখ ক্ষেতে তাকে ধর্ষন করে মিঠুন। আর স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক মিঠুন ওই গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। স্কুল ছাত্রী ওই গ্রামের সাহাদ মন্ডলের মেয়ে এবং সমসখলসী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে লেখা পড়া করে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চত করে জানান, ওই স্কুল ছাত্রী প্রতিদিনই বাড়ির পাশে মাঠে ছাগল চড়াতে যায়। এই সুযোগে কিছুদিন আগে মিঠুন নামে যুবকটি মাঠের মধ্যে জোরপুর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে এবং ভিডিও ধারন করে। পরে ধর্ষক মিঠুন ভিডিওটি তার বন্ধুদের কাছে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করে। এরপর ধর্ষনের ওই ভিডিওি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে একই গ্রামের আরো ৪ যুবক ধর্ষন করে আসছিল। সোমবার দুপুরের দিকে ওই ছাত্রীটি মাঠে ছাগল চড়াতে গেলে মিঠুন আবারও আখ ক্ষেতের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। এ
সময় ছাত্রী চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসে এবং মিঠুনকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিকেলে মিঠুনকে আটক করা হয়। পওে তার দেয়া তথ্যেও ভিত্তিতে আরো ৪ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ধর্ষনের ভিডিওটি উদ্ধার করা যায়নি। ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ওসি বলেন, স্কুলছাত্রী বাদি হয়ে মিঠুনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এজন্য মিঠুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপর ৪ জনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই ৪ জনের নাম পরিচয় দেয়নি পুলিশ।
এস/আর