নরসিংদীতে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) মনোহরদী, রায়পুরা ও পলাশ উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তারা মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫) ও নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২), দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে প্রবাসী রায়হান মিয়া (৩০) এবং সাধারচরের খোরশেদ মিয়ার ছেলে কৃষক খোকন মিয়া (৩০)।
শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে গৃহবধূ সামসুন নাহার খড়ের গাদা তৈরির জন্য বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে খড় আনতে গিয়েছিলেন। ওই সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার কলে।
নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান স্বজনদের বরাতে জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে বাড়ির সামনে ফুটবল খেলছিল শিশু জাবেদ মিয়া। ওই সময় বজ্রপাতে জাবেদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফরিদ মাহমুদ খান বাহালুল স্বজনদের বরাতে জানান, দুপুরে বাড়ির অদূরে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন পাতরদিয়া গ্রামের প্রবাসফেরত রায়হান মিয়া। হঠাৎ বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন। পথে বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান রায়হান মিয়া। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। দুই মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন কাতার প্রবাসী রায়হান মিয়া।
শিবপুরের সাধারচরের স্থানীয়রা জানান, সকালে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে পড়ে যান সাধারচর এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে কৃষক খোকন মিয়া (৩০)। পরে তাকে সেখান থেকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়াজ মোর্শেদ জানান, কৃষক খোকন মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
বিএ/