নরসিংদীর মাধবদীতে পায়ের সামনে থুতু ফেলার জেরে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিহতের মা বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।
রোববার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। নিহত কিশোরের নাম মোবারক হোসেন ওরফে শাহ আলম (১৭)। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। মোবারক মাধবদীর এসপি ইন্সটিটিউশন থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছেন, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাধবদীর দক্ষিণ বিরামপুর এলাকার আওয়াল মোল্লার চায়ের দোকানের সামনে নিহত মোবারক হোসেন ওরফে শাহ আলম কেরামবোট খেলছিল। ওই সময় মোবারক সেলিম নামে একজনের পায়ের সামনে থুতু ফেলে।
এর জের ধরে সেলিমের লোকজন মোবারককে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবদী হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
মাধবদী থানার ওসি মো. রকীবুজ্জামান জানান, এ হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে মামলাও প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে আটক করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান।
বিএ/