অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ঢাকার নবাবগঞ্জে অলিউর রহমান অলি (৩৮) ও রাশেদুল ইসলাম (২৯) নামে যুবলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গেলো শনিবার রাতে উপজেলার বকসনগর ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অলি উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাশেদ সহ-সম্পাদক বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম। হামলায় ওই দুইজন ছাড়াও একই পক্ষের বকসনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মারুফ হোসেন মুকুল (৩৬), মো. শাকিল (৩০) ও ইমরান (৩৩) নামে তিনজন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলায় আহত বকসনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মুকুল বলেন, খালপাড় গ্রামের মুরব্বি মুজাহার আলী অসুস্থ হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান। সংবাদ পেয়ে আমরা ৫-৭ জন সেখানে গিয়ে দেখি বাড়ির পাশে হৈ চৈ হচ্ছে। সেখানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পলাশও উপস্থিত ছিলেন। তার নেতৃত্বে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা কয়েকজন কোনও কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করলে অলি ও রাশেদ গুরুতর আহত হন।
মুকুল বলেন, আমরা বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন পাভেল ভাইয়ের নির্বাচন করেছি কিন্তু এখন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রনক ভাইয়ের সঙ্গেই বেশি সময় দেই। যা পাভেল ভাই ও পলাশ ভাইয়ের পছন্দ নয়। যে কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পলাশ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা। মুজাহার ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু হামলার বিষয়ে আমি নেতৃত্ব দেইনি।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেল বলেন, একটি মহল আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় ও হয়রানির উদ্দেশে আমার বিরুদ্ধে উঠেপরে লেগেছে। হুমকি ও হামলার অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহত অলি বকসনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ও রাশেদ একই গ্রামের মৃত ছকিল উদ্দিনের ছেলে। তারা দুজনই নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেএন