নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে বোরো ধানখেতে দেয়া কীটনাশক খেয়ে ১৭১টি খাকি ক্যাম্বেল জাতের পাতিহাঁস মারা গেছে। এতে হাঁস মালিক আব্দুল আজিজের প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে ২০ হাজার টাকায় উভয় পক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়।
গতকাল সোমবার উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের পিড়লডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিম মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস মালিক আব্দুল আজিজের বাড়ি একই গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন বোরো ধানের আবাদ। হাঁস এসব ধানখেতের জমি ও সেচের নালার জলাবদ্ধতায় শামুক ও ছোট ব্যাঙসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকে। পিড়লডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিম মাঠে জমির মালিক এমরান আলী তার জমিতে সোমবার দুপুরে দানাদার কীটনাশক প্রয়োগ করেন। কীটনাশক প্রয়োগের সময় তিনি এলাকাবাসীদের বিষয়টি অবগত করেননি।
কীটনাশক প্রয়োগের কিছু সময় পর হাঁস মালিক আব্দুল আজিজের প্রায় ২শ খাকি ক্যাম্বেল জাতের পাতিহাঁস ওই জমিতে যায়। যাওয়ার কিছু সময় পরই হাঁসগুলো মরতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ১৭১টি হাঁস মারা যায়। বাকিগুলোকে ভ্যাকসিন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়।
এ ব্যাপারে হাঁস মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, তিনি প্রতি বছর হাঁস পালন করে সংসার পরিচালনা করেন। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৪শ মিটার দূরে ওই বোরোখেত। জমির মালিক কিছু না জানিয়ে দুপুরে জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন। জমিতে হাঁস যাওয়ার কিছু সময় পরই মরতে শুরু করে।
জমির মালিক এমরান আলী বলেন, জমিতে হাঁস চরে বেড়ানোর কথা মনে ছিল না। কীটনাশক প্রয়োগের কিছু পরই হাঁসগুলো জমিতে আসে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাঁস মালিককে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
ধামইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই