নওগাঁর নিয়ামতপুরে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে চলেছে ছাতড়া গরুহাট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাহিনীর দ্বারা আরও বাড়তি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দু’সপ্তাহে ছাতড়া হাটে প্রায় ১ হাজার গরু ও ১ হাজার ৫০০ ছাগল বিক্রি হয়েছে। যা থেকে বাড়তি প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাতড়া হাটের প্রবেশ দ্বারে খাতা কলম নিয়ে বসে বিক্রি হওয়া গরু ছাগলের ছাড় লিখার কাজ করছিলেন এক যুবক। নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ক্রয়কৃত গরুর ৬৫০ টাকা দরে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যা সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে ১৫০ টাকা বেশি। তিনি আরও বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়ায় গরুর ছাড়পত্রে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয় না।
হাটে গরু কিনতে আসা চন্ডীপুর গ্রামের দেলোয়ার বলেন, গরুর দাম নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু গরুর খাজনা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। গরু প্রতি ১৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। যা একটু বেশি বেশি মনে হচ্ছে। প্রশাসনের আশু দৃষ্টি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, গত ১৪২৮ বাংলা খ্রিস্টাব্দে ছাতড়া ডাক ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। ১৪২৯ বাংলা খ্রিস্টাব্দে সে ডাক কোটি টাকা কমে প্রায় ৪ কোটি টাকায় মালেকা খাতুন নামে এক ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ডেকে নেয়।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাজেদ বলেন, হাটের ডাক তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বাড়তি টাকা আদায় করতে হচ্ছে। খাজনা আদায় বইয়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এব্যপারে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাড়তি টাকা আদায়ের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।