ঢাকাবুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে আবরার হত্যার বিচার: আইনমন্ত্রী

অনলাইন ভার্সন
নভেম্বর ১৩, ২০১৯ ৫:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২ ৪ঘণ্টা,  ডেস্ক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হবে।

আবরার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দেয়ার পর আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটানো উচিত নয়। সমাজ এটাকে মেনে নেবে না, আমরা এটাকে মেনে নেবো না। এটার উচিত বিচার হতে হবে। এটার মতো আর কোনোদিন যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই বিচারের মাধ্যমে অন্ততপক্ষে একটা বার্তা জনগণের কাছে যাক যে এরকম হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক, অপরাধীরা সাজা পাক।

তিনি বলেন, আগে বলেছিলাম- তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র যখন আদালতে দাখিল করা হবে তখন থেকে দায়িত্ব হবে প্রসিকিউশন টিমের। তখন বলেছিলাম, আমি একটা প্রসিকিউশন টিম প্রস্তুত রাখবো। এই মামলাটি যখনই বিচারিক আদালতে পৌঁছে তখনই যেন তারা বিচার কাজ শুরু করতে পারে। ঠিক সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি প্রসিকিউশন টিম প্রস্তুত রেখেছি। অভিযোগপত্র চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দাখিল করার পরে কিছু ফর্মালিটিজ আছে। সেগুলো যত শিগগিরই সম্ভব আমরা সম্পন্ন করবো এবং সোমবারের মধ্যে প্রসিকিউশন টিমকে বলবো দায়িত্ব নিতে।

দ্রুতবিচারের সময়সীমা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, দ্রুতবিচারে যদি বিচার করা হয় তাহলে প্রথম সময়সীমা হচ্ছে ৯০ দিন। তারপরের সময় ৩০ দিন। মোট ১২০ দিনের মধ্যে যদি বিচার সম্পন্ন করতে না পারে তাহলে তৃতীয়বারের জন্য ১৫ দিনের সময় আছে। এই ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

পলাতকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তারা আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করার জন্য প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে অর্থাৎ খবরের কাগজে দিতে হবে। খবরের কাগজে দেওয়ার পরেও তারা না আসলে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন যে পলাতক অবস্থায় বিচার করতে হবে।

এর আগে দুপুরে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গেল ৬ অক্টোবর রাতে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে আটজন তাদের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, যাদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন   

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।