খবর২৪ঘন্টা ক্রীড়া ডেস্ক: সুযোগ এসেছিল প্রথম ম্যাচেই। নিজেরা আগে ব্যাট করে ২০০ রান করার পর, জিম্বাবুয়ের ১২৮ রানে বেঁধে ফেলতে পারলেই মিলতো নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। ডোনাল্ড তিরিপানোর চওড়া ব্যাটের কারণে হয়নি সেটি। জিম্বাবুয়ে করে ফেলেছিল ১৫২ রান, বাংলাদেশ পেয়েছিল ৪৮ রানের জয়।
সেদিন না হলেও, বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঠিকই নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১১৯ রানে আটকে, নিজেরা ম্যাচ জিতে নিয়েছে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। জয় এসেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। যা কি না টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের ব্যবধানে এর আগে মাত্র একবারই জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সে ম্যাচে আফগানদের মাত্র ৭২ রানে অলআউট করেছিল স্বাগতিকরা। পরে শুধুমাত্র তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়েই পৌঁছে গিয়েছিল জয়ের লক্ষ্যে।
এবার অবশ্য লক্ষ্যটা ঠিক ছিলো তিন অঙ্কের। ব্রেন্ডন টেলরের ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। যা তাড়া করতে মাত্র ১৫.৫ ওভার লেগেছে বাংলাদেশের, হারিয়েছে মাত্র ১টি উইকেট।
১২০ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে ১০ উইকেটের জয়ই দেখছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের বিশ্রামে দলে সুযোগ পেয়ে লিটনকে যথাযথ সঙ্গ দিয়েছেন আরেক বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৭ রান পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৩৩ রান করেছেন নাঈম।
তবে অপরপ্রান্তে লিটন ছিলেন স্বপ্রতিভ। সেই টেস্ট ম্যাচ থেকে যে শুরু হয়েছে তার রানের ফোয়ারা, তা বজায় থাকল একদম শেষ ম্যাচেও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস, হাঁকিয়েছেন ৮টি চার। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রানের জুটি গড়ার পথে সৌম্য সরকার খেলেছেন ১৬ বলে ২০ রানের ছোট্ট এক কার্যকরী ইনিংস।
খবর২৪ঘন্টা/নই