লকডাউনের তৃতীয় দিনেও দোকান খোলার দাবিতে রাজশাহী মহানগরীতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার সকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারের বড় রাস্তায় অবস্থান নেয় দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। রাস্তায় অবস্থান নিয়ে তারা লকডাউন মানিনা, মানবোনা ও দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন ধরণের ¯েøাগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা কাপড় পট্টিসহ আরডি মার্কেট খুলে দেওয়ার দাবি জানান। দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন। তার পাশেই অবস্থান করছিলো রাজশাহী জেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা জানান, সামনে পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফেতর। ঈদের আগে দোকান খোলা রাখতে না পারলে তারা কর্মচারী ও পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়বেন। বছরের অন্য সময়ের লোকসান এ সময় ব্যবসা করে তারা পুষিয়ে নিতে পারেন। কিন্ত গত বছর থেকে করোনার কারনে সেটি সম্ভব হচ্ছেনা। এ অবস্থায় তারা আর্থিক দৈনদশায় পড়েছেন। তাই তারা দোকাল খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান করছেন।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসায় মন্দাভাব। করোনাকালীন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের। বেচাকেনা সারা বছর তেমন নেই বললেই চলে। তার উপর আবার ঈদের আগে মার্কেট বন্ধ থাকলে আরো সমস্যার মধ্যে পড়বেন তারা। এ অবস্থায় দোকানপাট খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন না। তারা আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে ব্যবসা করবে তারা।
এদিকে, লকডাউন শুরুর আগের দিন রোববার রাজশাহী আরডি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে লকডাউনের মধ্যেও দোকান খুলে রাখার ঘোষণা দেন। লকডাউন শুরুর দিন সোমবার তারা সকালে যথারিতী দোকান খুললেও তেমন ক্রেতা ছিলনা। পরে প্রশাসন গিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা একসাথে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ ও লকডাউন মানিনা, মানবোনা ¯েøাগানে বিক্ষোভ করে। ওই সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় তাদের আলোচনা হয়। মঙ্গলবারও তারা দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করে। বুধবারও তারা বিক্ষোভের সময় রাস্তায় শুয়ে পড়ে লকডাউনের প্রতিবাদ জানান।
৭ দিনের লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই রাজশাহীতে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন হয়। স্বাভাবিক ছিল জনজীবনও। রিক্সা-অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনও ছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের আনাগোনাও ছিল অনেক বেশি। অটোরিক্সায় স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা ছিলনা। গাদাগাদি করেই যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল অটোরিক্সা ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন।
এস/আর