নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের স্বাধীনতাকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ। এবার প্রথম স্বাধীনতা ও বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করেছি। ভারত হাসিনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছিল। ফাঁসির মঞ্চ সাজিয়ে রেখেছি, হাসিনা তুমি আসো। যদি সাহস থাকে বিচারের কাঠগড়ায় এসে তোমার বক্তব্য তুলে ধরো।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজশাহী নগরীর জিরো পয়েন্টে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিজয় র্যালী শেষে আলোচনা সভায় জামায়াত-শিবিরের নেতারা এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর জাদুঘর মোড় থেকে ছাত্রশিবিরের বিজয় র্যালী বের হয়। রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে সোনাদিঘির মোড় মনিচত্বর হয়ে জিরো পয়েন্টে সভায় মিলিত হয়। এদিকে আলুপট্টি মোড় থেকে পৃথক র্যালী বের করে জামায়াত। র্যালীটি কুমারপাড়া হয়ে গণকপাড়া মোড় হয়ে জিরো পয়েন্টে গিয়ে সভায় জড়ো হয়।
মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, ৫৩ বছর অতিবাহিত করেছিল। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা পাইনি। হাসিনা দেশকে লিজ দিয়েছিল ভারতের হাতে। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য শপথ নিতে হবে, সমুন্নত করতে হবে, স্থায়ী করতে হবে। যারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত শক্তি, পরাজিত পতিত শক্তিকে হাসিনাসহ সকলকে গ্রেফতার করে ফায়সালা করতে হবে। এদেশের মানুষ ইমান আকিদায় বিশ্বাসী, এ দেশের চেতনা নারায়ে তাকবিরের চেতনা, কালেমা তাইয়েবার চেতনা।
মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দীন মন্ডল বলেন, খুনি হাসিনা ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছিল হাসিনা। দেশে রক্তের হলিখেলায় মেতে উঠেছিল। ক্ষমতায় এসে চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল। হাজার হাজার জামায়াত শিবির নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। কোনো বিচার হয়নি। প্রত্যেক হত্যাকান্ডের বিচার হতে হবে। নতুন করে ধ্বনিত হচ্ছে, রক্ত দিয়ে কিনেছি এই স্বাধীনতা আর কোনো হায়েনার হাতে তুলে দিতে পারি না। প্রকৃত স্বাধীনতার সুখ পেতে ইসলামী মূল্যবোধের সরকার প্রয়োজন। সেই লক্ষেই জামায়াত কাজ করছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি শাহাদাত হোসাইন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, শিল্প বাণিজ্য বিভাগের সেক্রেটারি সারওয়ার জাহান প্রিন্স, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, যুব বিভাগের সেক্রেটারী সালাউদ্দিন আহমেদ, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য সিদ্দিক আহমেদ, ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি সিফাত আলম প্রমুখ।
বিএ..