1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছেঃ প্রধানমন্ত্রী - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ১৪ জানয়ারী ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছেঃ প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

খবর২৪ঘন্টা ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আওয়ামী লীগের জয় হবেই। গতকাল সন্ধ্যায় দলের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলের কৌশল নির্ধারণে কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সংসদীয় দলের এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সূচনা বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। নেতারা তাদের বক্তব্যে নির্বাচন সামনে রেখে দলের কৌশল, মনোয়ন এবং প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে নিজ নিজ মতামত দেন। পরে দলীয় সভানেত্রী নির্বাচন সামনে রেখে নেতাদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকার, দলীয় মনোনয়ন, প্রচার কৌশল ও বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে দলের নেতা ও সংসদ সদস্যরা কথা বলেন।

বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী আসন্ন নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারণায় তুলে ধরতে এমপি ও দলের নেতাদের পরামর্শ দেন। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ভোটেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ওপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চায়। দেশটা যে সুন্দরভাবে চলছে। দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে, তাদের ভালো লাগছে না। তারা চায় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে। সদ্যগঠিত এই জোটের নেতারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান কী না? তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তারা নির্বাচন চান কি চান না? সেটাই বড় কথা।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ‘নিরপেক্ষ সরকারের’ অধীনে নির্বাচনের দাবির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু একটা রায় হয়েছে উচ্চ আদালতে যে, কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই রায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী থেকে শুরু করে যারা বড় বড় আইনজীবী তারা কীভাবে দাবি করেন যে, এখানে আরেকটা সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। এই দাবিটা কেন? কীভাবে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই রায়ের পর আমাদের সংবিধান সংশোধন করেছি।

১৯৭২ এর সংবিধানে ঠিক যে রকম ছিল, যেভাবে নির্বাচনের জন্য যা যা লেখা ছিল আমরা সেইভাবেই নিয়ে এসেছি। ড. কামালের নাম উল্লেখ না করে তার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাহলে একদিকে দাবি করবেন সংবিধান রচয়িতা; অপরদিকে আবার সেই সংবিধানকে লঙ্ঘন করার জন্য নির্বাচনের অন্য ফর্মুলা দিবেন। অনির্বাচিত একটা সরকার গঠন করতে বলবেন। সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবেন। এই আব্দারটা কেন? কার স্বার্থে? কীসের স্বার্থে? সেটাই আমরা বুঝতে চাই। কি কারণে তারা এটা চাচ্ছেন। তাদের যদি এতো শক্তি থাকে জনগণের সঙ্গে আসবেন, ভোট হবে।

ইভিএম নিয়ে সরকারবিরোধীদের আপত্তিরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ইভিএম দিতে চাই, দ্রুত মানুষ যেন ভোট দিতে পারে। তাতেও আবার আপত্তি কীসের? সেটাও আমরা বুঝতে পারি না। ইভিএম আজকে ইন্টারন্যাশনালি ব্যবহার করে। এতে কেউ কারো ভোট চুরি করতে পারবে না। তাহলে সেখানে কি করে তারা আপত্তি জানায়। তারা নির্বাচন চান কি চান না সেটাই বড় কথা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকতে কথা বলা তো দূরের কথা একটা মিটিংও করতে দেয়নি।

আমরা কিন্তু সকলের জন্য সভা-সমাবেশ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কাউকে বাধা দিইনি। এখন একটা ঐক্যজোট হয়েছে। তারা মুখে বড় বড় কথা বলে আর দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান তাদের সঙ্গে জোট করেছে। সেই দলসহ বিএনপি জামায়াত জোটসহ ঐক্য হয়েছে। তারা বললো, আমরা নাকি তাদের মিটিং করতে দিচ্ছি না। সিলেটে তারা মিটিং করলো। আগেই তারা বলে, আমাদের দিচ্ছে না। আমার যেটা মনে হয়, যে তারা চান আমরা তাদেরকে বাধা দিই। বিএনপি’র সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেই প্রমাণিত বিএনপি একটি দুর্নীতিবাজ দল। দেশটাকে তারা লুটে খেয়েছিল। দেশের অনেকেই উন্নয়ন চোখে দেখে না বলেও মন্তব্য করেন টানা দুই মেয়াদের সরকারপ্রধারন।

বলেন, উন্নয়ন তারা চোখে দেখে না, দেখবে না। চোখ থাকতে তারা অন্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছি। এটা করতে গিয়ে যে সমস্ত শর্ত পূরণ করা দরকার তার প্রত্যেকটি পূরণ করেছি। আমরা এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে চাই এবং এটাকে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবো। আর ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রী পালন করবো। আমাদের সৌভাগ্য ছিলো যে স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি যখন পালন করি তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিলো। আমার দাওয়াতে নেলসন ম্যান্ডেলা এসেছিলেন, ইয়াসির আরাফাত এসেছিলেন, সোলেমান এসেছিলেন। সাধারণত সামিট ছাড়া তিনটা দেশের প্রেসিডেন্ট আসেন না।

কিন্তু আমি যেহেতু দাওয়াত দিয়েছিলাম তাই তারা এসেছিলেন। কাজেই তাদেরকে নিয়ে আমরা স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালন করেছিলাম। ইনশাআল্লাহ্‌ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও আমরা উদযাপন করতে পারবো। যদি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা না থাকলে এটা আর কেউ ভালোভাবে পালন করবে না। যারা পাকিপ্রেমী তারা তো করবে না। এটা বাস্তব। এখনও অনেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে না। বাংলাদেশের থেকে পাকিস্তানের উন্নয়ন তারা বেশি দেখে। যারা ঐক্য করেছেন তাদের একজন বক্তৃতা দিলেন, পাকিস্তানিরা নাকি আমাদের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে। তাকে প্যাকআপ করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের ঋণ পরিশোধের জন্য সৌদি আরব তিন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এই হলো পাকিস্তানের অবস্থা। আর আমরা কিন্তু একদম ঋণ খেলাপি না। যেখান থেকে যা উন্নয়নের ঋণ নিচ্ছি সময়মতো প্রতিটি ঋণ পাই পাই করে শোধ দিচ্ছি। আমাদের কিন্তু কারও কাছে ওই ঋণ পরিশোধের জন্য হাত পাততে হচ্ছে না। এরপরও যদি কেউ উন্নয়ন না দেখে সেই বিচারটা জনগণের হাতে ছেড়ে দিলাম। তিনি বলেন, জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার মধ্যে বাংলাদেশকে এরই মধ্যে আমরা ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সেটাও আমরা করে রেখেছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে। দেশের প্রত্যেকটা গ্রাম আমরা সাজাবো। আমি সেই আপ্রাণ চেষ্টাটা করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ্‌ আমরা সেটা করতে পারবো।

এদিকে দলের নেতারা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কৌশল চূড়ান্ত করতে যৌথ সভা হয়। এতে বিভিন্ন জেলার এমপিদের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হবে তা নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যরা বৈঠকে মতামত দেন। নির্বাচনী ইশতেহারের কাজ এগিয়ে এনেছে এ সংক্রান্ত কমিটি। ইশতেহারের বিষয়েও দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়। এদিকে নির্বাচনের সময় কম থাকায় দলীয় সভানেত্রী বৈঠক থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের স্পষ্ট বার্তা দেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনার পাশাপাশি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাতে কেউ প্রার্থী হতে চেষ্টা না করেন সেজন্য সবাইকে সতর্ক করে দেন তিনি। বৈঠকে রাজনৈতিক মাঠে ড. কামালের নেতৃত্ব বিএনপিসহ আরও কয়েকটি দল মিলে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

খবর২৪ঘন্টা / সিহাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST