দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে— এমন দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আবারও আগুন লেগেছে। আমরা এ ঘটনায় শোক জানাচ্ছি। যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি সেই ১/১১ থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা চলছে। যা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। এর অংশ হিসেবে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এখনও ঠিক একই কায়দায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এ সরকার।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিল-চুক্তিতে তার নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই, সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
‘বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী, আমলা ও নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। এ চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।থ
তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, চার্জ গঠন করে মামলার একতরফা যে রায় দেওয়া হবে তা হবে প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি আদেশ এবং দুদকের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, তাদের একতরফাভাবে সাজা দেওয়ার হীন পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
বিএ/