রাবি প্রতিনিধি: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রতিবাদ ও ৬দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবু হাশেমের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ড. এক্রাম উল্লাহ স্যারকে ফাঁসানোর চেস্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেখানে দিনের পর দিন দুর্নীতির সীমা অতিক্রম করে চলেছে রাবি প্রশাসন। ঠিক তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে ড. এক্রাম স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরো বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের যে কোন কিছুতে সবাই সমালোচনা করার অধিকার রাখে। ঠিক তারই উপর ভিত্তি করে ড. এক্রাম স্যার ভিসিকে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু ভিসি সংবিধান না মেনেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমিয়ে রাখতে এবং নিজেদের দোষকে আড়াল করার জন্য এমন একটি জঘন্য কাজের আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেন বক্তারা
এ সময় মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- অধ্যাপক এক্রাম উল্লাহর বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহার, অন্যথায় আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যহত। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, প্রত্যেক আবাসিক হলে সিসি ক্যামেরার বাজেট অতিদ্রæত বাস্তবায়ন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, অহেতুক কোন শিক্ষার্থীকে হয়রানিমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করা, ক্যাম্পাসকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত।
এসময় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম আকাশ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় প্রায় দুই শত পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক এক্রাম উল্লাহর বিরুদ্ধে ৯অক্টোবর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বহিরাগত আনার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠনক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আর/এস