নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হাবিবুর রহমানসহ তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। শনিবার কারা অধিদপ্তর থেকে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সুনামগঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে বদলি হওয়া আরো দুই কমকর্তা হলেন, রাজশাহী কারাগারের ডেপুটি জেলার রাসেল এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঢাকা ও ডেপুটি জেলার সাইফুল এর কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত সপ্তাহে ডেপুটি জেলার সাইফুলসহ আমার বদলির আদেশ হয় এবং শনিবার জেলার স্যারের সুনামগঞ্জে বদলির আদেশ হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারা অনুবিভাগ) সৈয়দ বেলাল হোসেনকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে কমিটি ৪৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, সুস্থ বন্দীদের টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ভর্তি, সাক্ষাত ও জামিন বাণিজ্য। যেসব কমকর্তার বিরুদ্ধে কমিটি প্রমাণ পায় তারা হলেন, রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন আলতাফ হোসেন, সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন, জেলার হাবিবুর, ডেপুটি জেলার সাইফুলসহ ৮৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ডিআইজির বাসায় ৮ জন কারারক্ষী, জেলা সুপারের বাসায় ৬ জন, জেলারের বাসায় ৬ জন ও ডেপুটি জেলারের বাসায় ৪ জন কারারক্ষী ব্যক্তিগত কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়াও বন্দীদের খাবারে
অনিয়ম, কারাগারের পুকুরে অনিয়ম ও কারাগারের ভেতরে উৎপাদিত পণ্যের অর্থ নিয়েও দুর্নীতির প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। কোন বন্দী এর প্রতিবাদ করলে তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হতো বলেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এদিকে, নাম না প্রকাশ করার শরতে এক করমকরতা বলেন, যারা মুল অনিয়মের সাথে জড়িত এখনো তাদের বদলি বা শাস্তি হয়নি। তাদেরও শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খবর ২৪ ঘণ্টায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আর/এস