দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে স্বামীর নির্যাতনে রিমা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। পরে তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই গৃহবধূ উপজেলার নামুদরখালি গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী। জানা গেছে, গত ৩ বছর আগে উপজেলার নামুদরখালি গ্রামের বুদে মুল্ডলের ছেলে সোহেল রানার সাথে বিয়ে হয় কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রিমার। বিয়ের কিছুদিন পর সোহেল রানা নগদ টাকা ও আসবাবপত্র চেয়ে না পেয়ে রিমার উপর শারীরিক ও মানুষ নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই গৃহবধূ তার বাবার
কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা নিয়ে গিয়ে স্বামীকে দেন। গত মঙ্গলবার আবারো গৃহবধূ রিমাকে শারীরিক নির্যাতন করে পাষÐ স্বামী সোহেল রানা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে রিমাকে ডিভোর্স লেটার ধরিয়ে দেন তিনি। সেই সাথে তিন মাসের শিশুটিকে তার কোলে তুলে দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীদের সহযোগিতায় রিমার বাবা রিমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে রিমার বাবা আবুল কাশেম বলেন, আমার জামাই একটা অমানুষ। কারণে-অকারণে মেয়েকে নির্মম নির্যাতন করে আসছিলো। সর্বশেষ কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায় পরপর দুইদিন তার মেয়ের ওপরে নির্যাতন চালানো হয়। আমি মেয়েকে নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।
এস/আর