দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: দুর্গাপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করার অভিযোগে চারটি (৪) ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী ঔষধ প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্গাপুর বাজারে মেডিকেল মোড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঔষুধ ও কচমেটিম আইন ২০২৩ এর ৪০ (খ) গ ঘ লংঘন তথা নিষিদ্ধ ঔষুধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ ক্রিয় করায় ৫৪ ধারায় চারটি ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলার সহকারি কমিশনার( ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্র্রেট সুমন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসনের পক্ষে রাজশাহী দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক শরিফুল ইসলাম। বাজারের মেডিকেল মোড়ে শেলী ফার্মেসী-৩০০০, বিসমিল্লাহ ফার্মেসি- ৩০০০, নিয়ন ফার্মেসী- ৩০০০, প্রফেসর ফার্মেসী- ২০০০, চারটি ঔষুধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও বিনামূল্যের (সিম্পল) পাওয়া যায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্র্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি, ফার্মেসী চারটিতে ১১ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেন।
এ সময় দুর্গাপুরের একমাত্র মডেল মেডিসিন শপ “স্বচ্ছ মেডিকেয়ারেও অভিযান চালানো হয়। তবে এই ফার্মেসিতে অবৈধ কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ বা ত্রুটিযুক্ত কোনো ঔষধ পাওয়া যায়নি। ঔষধের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখা মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনে বলে কয়েকজন ঔষধ ক্রেতা দাবি করেছেন। তারা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার বেশ কিছু দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় এমন অভিযানকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
সহকারী কমিশনার( ভূমি) সুমন চৌধুরী বলেন, দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিনামূল্যের ঔষধ পাওয়া গেছে। যা কোনো ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই অভিযানের মাধ্যমে তাদের সর্তক হওয়ার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়ম মেনে অভিযান চালানো ও অর্থ দণ্ড করা হয়েছে।
বিএ..