নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক হৃদয়বিদারক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেন স্ত্রী রিপা খাতুন (২২)। ভুলবশত সেই খাবার তাদের ৯ মাস বয়সের শিশু সন্তান আয়মানকে খাওয়ানো হয়। পরে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গৃহবধু রিপা বলেন খাবারে বিষ মিশানো ছিল। জানার পরে তাৎক্ষণিক তার বাবা ও পরিবারের লোকজন শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে নিয়ে যায় । বর্তমানে শিশু আয়মানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালাশা গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানায়, ২ বছর আগে পালশা গ্রামে মোমিনুর রহমানের সাথে রিপা খাতুন (২২) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং রিপা মাঝে মাঝে বাবার বাড়ি চলে যান। পারিবারিক কলহের মাঝে তাদের ঘরে একটি ছেরে সন্তা জন্ম হয় । তারপর থেকে গৃহবধু রিপা জানিয়ে দেন তিনি আর স্বামী মোমিনুরের সংসার করতে চান না। ঘটনার দিন রিপা তার স্বামীকে জানায় সে বাবার বাড়ি যাবে। স্বামী নিষেধ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে রিপা স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে রান্না করা মাংসের তরকারি ও খাবার পানিতে জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মিশিয়ে দেন। স্বামী জানতো না খাবারে বিষ মিশানো আছে। এ সময় তাদের শিশু সন্তান ক্ষুধায় কান্না শুরু করলে মোমিনুর শিশুকে সামান্য ভাত ও সেই তরকারি খাওয়ান। খাবার গ্রহণ করার একটু পরে শিশুটি বমি করতে থাকেন। পরে গৃহবধু রিপা নিজেই খাবারে বিষ মিশানো কথা স্বীকার করে এবং তাদের সন্তানকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এব্যাপারে গৃহবধু রিপা রান্না করা তরকারি ও পানিতে বিষ মেশানোর কথা স্বীকার করে বলেন, স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিতে খাবারে বিষ মিশানো হয়েছিল। কিন্তু তার স্বামী অজান্তে সন্তানকে বিষ মিশানো খাবার খাওয়ায়। আমি পরে বিষযটি স্বীকার করলে সন্তান নিয়ে স্বামী ও পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি রাগের মাথায় ভুল করেছি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।