দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বখাটের সাথে কিশোরীকে বিয়ে না দেওয়ায় কিশোরীর পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শাকোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিশোরীর পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিশোরীর বাবা এজাজুল হক জানান, তার মেয়ে শাপলাকে হাইস্কুল জীবন থেকেই একই গ্রামের ময়েন উদ্দিনের বখাটে ছেলে পিয়ারুল বিয়ের দাবিতে রাস্তায় উক্ত্যক্ত করে আসছিলো। তার মেয়ে শাপলা স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছিলো। এ বিষয়ে স্থানীয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করে কোন ফল হয়নি। এক পর্যায়ে শাপলাকে পবা উপজেলার ভালান গ্রামের কাওসার নামে এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার। তাদের
সংসার চলছিলো বেশ ভালোই। সংসার জীবনে তাদের পরিবারে একটি সন্তান জন্ম নেয়। এরই মধ্যে সেই বখাটে পিয়ারুল আবারো শাপলাকে জ্বালা যন্ত্রণা করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে শাপলার স্বামীকেও বিভিন্ন কথা ফাদে ফেলে ভুল ভাল বুঝিয়ে সংসার জীবন থেকে বিচ্ছেদ ঘটায় পিয়ারুল। এর পরেও খান্ত হয়নি পিয়ারুল। বাবার বাড়িতে থাকা শাপলাকে গত শুক্রবার বিকেলে বখাটে পিয়ারুলের নের্তৃত্বে তার বড় চাচা আলিফ,আলাল ও চাচি ময়না বেগম শাপলার বাবার বাড়িতে গিয়ে তাদেরসহ পরিবারে ওপরে হামলা চালায়। ওই হামলার শিকার হন শাপলা খাতুন সহ তার বাবা ও মা। আহতদের মধ্যে শাপলাকে
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন শাপলার বাবা এজারুল ইসলাম ও মা ফাতেমা বেগম। এবিষয়ে দুর্গাপুর থানা (ওসি) খুরশিদা বানু কনা জানান, অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালেও আহত শাপলাকে দেখে এসেছি। ইফটিজারদের কোন ছাড় নেই। অতিদ্রæত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর/এস