রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যোগীশো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুুন তুলির বিরুদ্ধে সরকারী নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে দুর্নীতি ও বিদ্যালয়ের প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার যোগীশো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজ নামীয় পালশা মৌজার আরএস খঃ ৭৫৭ দাগ নং-২১৪৭, আরএস খঃ ৯৭৬ দাগ নং-২১৪৮, আরএস খঃ ৯৭৬ দাগ নং-২১৪৯, মোট ৩৬ শতাংশ জমি আছে। প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন তুলি নিজের ইচ্ছায় স্বজনপ্রীতি করে একটি ভুয়া কমিটি করে কমিটি গঠণ করে।
কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, রোজিনা, রুস্তম আলী ও আঃ কাদেরের সঙ্গে মিলে গোপনে বিদ্যালয়ের জমি লীজের মাধ্যমে ৫ টি দোকান ঘর বরাদ্দ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এবিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন জানান, আমি ২০১৭ সাল থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে বিদ্যালয়ের জমি জমা খরিদ করা বা সরকারী অনুদানের কাজ গুলো সুষ্টভাবে পরিচালনা করে আসছি। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক আমাকে না জানিয়ে গোপনে তার মতো করে স্বজনপ্রীতি করে একটি কমিটি গঠণ করে।
কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে বিদ্যালয়ের জমি জমার টাকা এবং প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে আসছে। আমি এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ জানালে প্রধান শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা জজ আদলতে ৫৮/৫৭ ধারায় মামলা করেন।
পরে বিদ্যালয়ের জমি জমার কাগজপত্র আমি আদালতে দাখিল করলে মামলা খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় জেলা জজ আদালতে ৩৭/২০নং ধারায় আপিল করেন যা এখন পযর্ন্ত চলমান রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন তুলি জানান, সভাপতির অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তিনি আমার বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে অভিযোগ করেছেন।
বিএ/