নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৭ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনিক পরিবেশ।
সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও সংকট নিরসনে বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে জয়নগর ইউপি সদস্যদের নিয়ে গোপন ভোটের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।
জানাগেছে, ১২ জন ইউপি সদস্যদের নিয়ে গোপন ভোটের ফলাফলে প্যানেল চেয়ারম্যান-তিন ও নারী ইউপি সদস্য রুপালী খাতুন ৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার পেয়েছেন ৫ ভোট।
ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানাগেছে, জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর আওয়ামী লীগের পদে থাকার কারনে তিনি নিরুদ্দেশ হওয়ায় ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে মুনছুর রহমান উপর দায়িত্ব পড়ে। পরবর্তীতে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রাকিবুল ইসলাম অপারগতা জানালে প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নারী ইউপি সদস্য রুপালী খাতুনের উপর গত ১০ জুলাই রেজুলেশন করে দায়িত্ব অর্পন করা হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন ইউপি সদস্য রুপালী খাতুনকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে যেন দায়িত্ব না দেওয়া হয় সেই মর্মে অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন।
সংকট নিরসনের জন্য বিষয়টি নজরে আনেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন। পরে ইউপি সদস্যদের নিয়ে গোপন ভোটের আয়োজন করা হয়।
এসময় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের লোকজন উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জড়ো হওয়া মেম্বারের লোকজন সটকে পড়ে। এব্যাপারে ইউপি সদস্য আনোয়ারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, সংকট নিরসন ও পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে মতামত নেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত এই সংকট নিরসন হবে। এব্যাপারে,স্থানীয়রা আশাবাদী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিরোধের অবসান ঘটাবে।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।