দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন কৃষকরা। আজ সোমবার দুপুরে পারিলা ও তেকাটিয়াপাড়ার শতাধিক নারী পুরুষ অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এছাড়াও পুকুর খনন বন্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগ থেকে দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দাওকান্দি গ্রামের নামুপাড়া বিলে প্রায় ৮০ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে ৪টি পুকুর খনন শুরু করে হরিরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সাবু। এরপর স্থানীয় কৃষকদের তোপের মুখে পুকুর খনন বন্ধ করে দেয় অধ্যক্ষ। পরে আবারও পুকুর খনের চেষ্টায় চালালে ৩ বছরে ৮ বার পুকুর খনন ভেস্তে দেয় উত্তেজিত কৃষকরা। এতে পুকুর খননের গাড়িও ভেঙে দেয় উত্তেজিত কৃষকরা। গত ২-৩ দিন থেকে আগে বির্তক ওই জায়গায় আবারও পুকুর খননের উদ্দ্যেশে গাড়ি নামায় অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সাবু। এতে স্থানীয় কৃষকরা প্রতিবাদ করলেও কাউরে কথা তোক্কা না করে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গত রোববার বেলা ১২টার দিকে পারিলা ও তেকাটিয়া পাড়ার কৃষকরা একজোট হয়ে পুকুর খনন বন্ধে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুকুর মালিক অধ্যক্ষ সাবু সহ তার লোকজনের সাথে প্রতিবাদ মূখর কৃষকদের সাথে দফায় দফায় লাঠিসোঠা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। পরে আবারও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পারিলা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন ও জান বক্স বলেন, এই এলাকার কৃষকের অর্থনৈতিক ফসল পান। পানের উপর এ এলাকার মানুষের জীবিকা। ওই বিলে অধ্যক্ষের পুকুর হলে শত শত পানবরজ সহ ফসলি জমি পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। ফলে এ এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে মারাতœক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রোববার দুপুরে স্থানীয় কৃষকরা পুকুর খননের সময় গাড়িতে ভাঙচুর করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দু পক্ষের লোকজন লাঠি সোঠা নিয়ে অবস্থান নেয়। হরিরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সাবুর ব্যবহত ফোনে কল করা তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, কৃষকরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে ওখানে পুকুর খনন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এস/আর