রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা চত্বরে পুকুরের পানিতে পড়ে গিয়ে ফুপু ও ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে আট বছরের ভাতিজি পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে তুলতে গিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ফুপুও পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এতে দুইজনেরই মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুই ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ পুকুরে ভেসে ওঠে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের লাশ পুকুর থেকে ওঠায়। পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই জনের মধ্যে একজনের নাম মেঘা খাতুন (৮) ও অন্যজন হিরা খাতুন (২৪)। মেঘা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা সদরের মোরশেদ আলীর মেয়ে এবং হিরা এরশাদ আলীর মেয়ে। তারা সম্পর্কে আপন ফুপু ও ভাতিজি। দুর্গাপুর উপজেলা চত্বরের দেয়াল ঘেঁষেই তাদের বাড়ি। পাশেই মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা সবাই কাজ করছিলেন। দূর থেকে তারা এই ঘটনাটি দেখেছেন। কিন্তু তারা আসার আগেই এ দুইজন পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মেঘা টয়লেট থেকে ফিরে পুকুরে হাত ধুতে গিয়ে পড়ে যায়। বিষয়টি দেখে তার ফুফু এসে তাকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। তবে তিনিও পড়ে যান। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনিও আর উঠে আসতে পারেননি। এতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুইজনেরই মৃত্যু হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, সকালে উপজেলা চত্বরের পুকুরে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পাশেই মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। শ্রমিকরা দূর থেকে সবকিছুই দেখেছেন। কিন্তু তারা এসে উদ্ধার করার আগেই এ ঘটনা ঘটে।
বিএ-