উত্তরের হিমেল হাওয়া আর প্রচন্ড কুয়াশার কারণে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। প্রচন্ড শীতে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত তখন একটু গরম কাপড়ের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ছুটে চলছেন ফুটপাত গুলোতে।
বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারের ফুটপাত দোকান গুলোতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে দোকানীরা গরম কাপড় বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে জমজমাট বেচাকেনা হওয়ায় খুশি ব্যাবসায়ীরা।
দুর্গাপুর থানা মোড় থেকে শুরু করে বাজারের বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতগুলোতে গরম কাপড়ের জন্য অন্তত ১৫—২০টি দোকানে চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ তীব্র শীতের মধ্যে ওই দোকান গুলোতে সব বয়সীর জন্য শীতের পুরাতন ও নতুন সুয়েটার বা জ্যাকেট কেনাকাটা কতে ক্রেতাদের দেখা যায়।
তবে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন পুরনো শীতের পোশাকগুলোতে অনেক দাম হাকা হচ্ছে। তার পরেও কিছুটা সাশ্রয় পাওয়ার আশায় শীতের পুরনো পোশাক ক্রয় করছেন।
পুরনো শীতের পোশাক বিক্রেতা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তারা ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরানো শীতের কাপড় ও জ্যাকেট সোয়েটারের বেল্টগুলো তারা ক্রয় করেন। এবং সেই বেল্ট ভেঙ্গে সাইজ করে তা ক্রেতাদের সামনে সাজিয়ে রেখে বিভিন্ন দামে বিক্রি করেন তারা। সেই বেল্টগুলোর মধ্যে বড়দেরসহ ছোটদের জ্যাকেট ও সোয়েটার রয়েছে। তারা ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিভিন্ন নারী—পুরুদের গরম কাপড় বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন গত এক সপ্তাহ থেকে শীত পড়েছে। আর এই এক সপ্তাহ থেকে তারা প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। এতে তাদের প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লাভ হয়।
এদিকে বিভিন্ন গার্মেন্টস দোকান গুলোতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেছে। সেখানেও নতুন শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য ভিড় করছেন সব বয়সীর নারী—পুরষ ও শিশু কিশোরা।
দুর্গাপুর আম্বীয়া প্লাজার গার্মেন্টস মালিক আলামিন জানান, তারা দোকানে ছেলেদের জ্যাকেটের দাম ১২শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, মেয়েদের লং সোয়েটার ৮শ থেকে ১৫শ টাকা। বাচ্চাদের সোয়েটার ৭০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা, ছেলেদের মাফলার ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ও টুপি ১৫০ থেে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বিদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, করোন ভাইরাসকে কেন্দ্র করে সব পণ্যের পাশাপশি বিভিন্ন পোশাকেরও ব্যাপক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতবারের চেয়ে এবার প্রত্যেক পোশাকে ৩শ থেকে ৫শ টাকা করে দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার অভিজাত শপিংমলগুলোতে উচ্চবিত্ত ও স্বচ্ছল মানুষের ভিড়ও চোখেপড়ার মতো লক্ষ্য করা গেছে।
বিএ/