দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে মধ্যেরাতে প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলায় নিহত হয় জুয়েল রানা (৩০) নামের এক যুবক। ঘটনার ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তোফাজ্জল হোসেন লাবুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগির পরিবার ও এলাকাবাসি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের হাড়িয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে সড়কে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহতের পরিবার ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।
মানববন্ধনে নিহত জুয়েলের মা মর্জিনা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। জুয়েলের বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। পরিবারে আমার ছেলেটাই একমাত্র আয়ের উৎস ছিল। গত ৩ জুন মধ্যে রাতে জুয়েলকে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।ঘটনার পর হত্যাকারি তোফাজ্জল হোসেন লাবুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে লাবুর পরিবার ও তার পক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত আমাদের মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানাই, হত্যাকারি লাবুকে যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হয়।
নিহত জুয়েলের স্ত্রী রিতা খাতুন বলেন, লাবু পরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার ভিডিও সিসি ফুটেজের ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরও থানা পুলিশ আসামি না ধরে নানা তাল-বাহানা করছে। আমার স্বামীর হত্যাকারি লাবুকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, লাঠির আঘাতে জুয়েল নামের ওই যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সিসি ফুটেজে দেখা গেছে। আমরা চেষ্টা করছি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
উলেখ্য, গত ৩ জুন দিবাগত রাতে অর্তকিত হামলা চালায় জুয়েল রানার উপর। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৫ জুন রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মারা যান। হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে হামলাকারী লাবুকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসি ।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।