দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুর উপজেলার সর্বত্র এখন শুধু ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের পদচারনায় মূখর হয়ে উঠেছে বিপনী -বিতান গুলো।
তৈরী পোশাকসহ রেডিমেট শাড়ি, থ্রিপিচ, পাঞ্জাবী, ছিট কাপড়, জুতো সেন্ডেলের দোকান, প্রসাধনী সামগ্রী, সেমাই, চিনি সব খানেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষনীয় হয়ে উঠেছে। দোকান গুলোতে এক পলক তাকালে যেন মনে হয় শিশু, যুবক, বৃদ্ধ্যসহ সব বয়সের মানুষের মিলন মেলা বসেছে। দশটি পন্য দেখে একটি কেনার জন্য সবাই ছুটছেন যে দোকান গুলোতে বেশী পসরা সাজানো রয়েছে । তবে রমজানের শুরুতে ক্রেতাদের তেমন একটা ভিড় দেখা না গেলেও ১০ থেকে ১২ টি রোজার পর থেকে উপজেলার সকল মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে দেখা দিয়েছে জমজমাট ব্যবসা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের জামা-কপড়সহ নানান পন্য ক্রয়ের জন্য ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
তবে কিছু ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিগেট তৈরি করে অন্য বছরের তুলনায় এবছরে ঈদের জামা-কাপড় একটু চড়া দামে বিক্রি করছেন বলে অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ফলে অনেক ক্রেতারা বাজারে এসে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। তার পরেও ঈদের কেনাকাটা বলেই ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে নিজেদের পছন্দের পোশাকটাই কিনছেন। দুর্গাপুর উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আয়েশ সুপার মার্কেট, মজিবর সুপার মার্কেট,আব্বাস সুপার মার্কেট,শাপলা মার্কেট,সাগর গার্মেন্টস,পিতামাতা শপিং সেন্টার, এম আইয়ুব আলী শপিং সেন্টার, থানা মোড়ের আবদুস সামাদ মার্কেট, আলাউদ্দিন শপিং সেন্টার, আম্বিয়া সুপার মার্কেটসহ উপজেলার সবগুলো শপিং সেন্টার গুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। উপজেলার আয়েশ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সব বয়সী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড় কেনাকাটার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে ব্যাবসায়ীরা ক্রেতাদের সামলাতে হিমসিম খেলেও আনন্দের হাসি লেগে আছে তাদের চোখে মুখে।
অসংখ্য ক্রেতাদের আনাগোনা ও সরব উপস্থিতিতে যেন এই মার্কেটগুলোতে উৎসবের আমেজে পরিপুর্ন হয়ে উঠেছে। ঈদ উপলক্ষে দোকানীরা দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন নতুন নতুন নানান ডিজাইনের পোশাকসহ নানান পণ্যে সমাহার। এসব মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলোতে সবচেয়ে মহিলা ও শিশুদের জন্য নানা বাহারি রঙের দেশী ও বিদেশী পোশাক দেখা গেছে। যেমন হাতের কারুকার্য্য করা শাড়ী, থ্রিপিস, বসুন্ধারা লেহেংঙ্গা,লং থ্রী পিস,কটকটি,কারচুপি,ফতোয়া, ছেলেদের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি,শার্ট, চুচ প্যান্ট,লং সাট, ও শিশুদের বিভিন্ন রকমানি পোষাক। আয়েশ মার্কেটে পাঞ্জাবি ও প্যান্ট কিনতে আসা, মাড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেন, রতন মিয়া ও রাকিব বলেন, সাধ্যেরমধ্যে তাদের প্রয়োজনিয় পছন্দের পোশাক ক্রয় করেছেন। তুলনামুলক বাজারে পোশাকের দাম একটু চড়া হলেও তারা হাসি মুখে তাদের পোশাক ক্রয় করেছেন। দুর্গাপুর থানা মোড়ে আম্বিয়া সুপার মার্কেটের নিহাল সপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী আল-আমিন জানান, রমজানের ১০ থেকে ১২ টি রোজার পর থেকে মুলত কেনা বেচা বেড়েছে। বর্তমানে বেচাকেনা খুব জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে শিশু ও মহিলাদের পোশাক একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান। এছাড়াও ফুটপাত,অলংকার, কস্মেটিকস,জুতো সেন্ডেলের দোকান, সেমাই, চিনি দোকনসহ সব গুলোতেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষনীয় হয়ে উঠেছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ