1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দুর্গাপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪৬ হাজার পশু - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪৬ হাজার পশু

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
oppo_2

আজহারুল ইসলাম বুলবুল : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর দুর্গাপুরের খামারি ও গৃহস্থরা। অন্যদিকে গরুর বায়না দিতে গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন ব্যাপারীরা। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গৃহস্থদের কাছে পছন্দের পশুর বায়না দিচ্ছেন। তবে ভারতীয় পশু স্থানীয় হাটে ঢুকে পড়লে দাম কমার শঙ্কা রয়েছে এমন দুশ্চিন্তায় আছে মালিকরা ।

উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস সুত্রে জানাগেছে ঈদুল আজহা’র ঈদকে সামনে রেখে এবার উপজেলা জুড়ে প্রায় ৪৬ হাজার গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ দেশী-বিদেশী নানা জাতের গরু পালন করেছেন খামারি ও গৃহস্থরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পশু পালনে বাড়তি মনোযোগী হয়েছেন খামারি ও গৃহস্থরা। সর্বক্ষণ পশুকে পর্যবেক্ষণে রাখছেন, করছেন বাড়তি যত্ন। এছাড়া নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। তবে মালিকরা বলছেন, গো-খাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ, ওষুধ ও পালন ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাওয়ায় ভাল দাম না পেলে লোকশান গুনতে হবে তাদের।

উপজেলার আমগাছি বাজার এলাকার খামারি শুকুর উদ্দিন বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে আমার খামারে ৩টি ফিজিয়ান গরু ও ১১ টি মহিষ বিক্রির প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরু-মহিষের নিয়মিত যত্ন নেওয়া হচ্ছে। খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খামারের গরু-মহিষের পেছনে বেশি খরচ হয়েছে। এখন বাজারদর নিয়ে শঙ্কায় আছি। তবে ভারতীয় গবাদিপশু যদি কোনোভাবে ঢুকে পরে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে দাবি খামারিদের রক্ষা করতে অবৈধ গবাদি পশু প্রবেশ বন্ধে এখন থেকেই কাজ করতে হবে।

খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর লাভের আশায় ৮/১০ গরু পালন করি। গোখাদ্যসহ সবকিছুর দাম বাড়ায় গত বছর পশু পালন করে লোকশান গুনতে হয়েছে। এবার খামারে ৪ টি গরু রয়েছে দাম ভালো পেলে আগামীতে বানিজ্যিক ভাবে পশু পালন করবো।

উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কোরবানির পশুকে অসাদুপায়ে মোটাতাজা না করার জন্য আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছি। তাছাড়া বিভিন্ন ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে নিম্নমানের ওষুধ সামগ্রী না রাখার বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। তবে কয়েক দফায় গোখাদ্যের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে খামারি ও গৃহস্থের। আমরা খামারিদের প্রস্তুত করা পশুকে স্টেরয়েড হরমোন ও কেমিক্যাল, পোলট্রি ফিড বা মাছের ফিড না খাওয়াতে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি বলেন, এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় এবার কোরবানির জন্য বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। বিগত বছর গুলোর মতো কোরবানিতে এবারও পশুর সংকট হবে না।

বিএ..

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team