দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমান পরিচালনা করে ২শতাধিক কৃষকের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি স্থানীয় প্রভাবশালিরদের হাত থেকে রক্ষা করলো উপজেলা প্রশাসন। বেশ কিছুদিন থেকে পুকুর খননের হিড়িক চলছিলো এমন খবরে উপজেলা প্রশাসনের এমন মহত কাজ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় দিকে উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের তরিপতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, বেশ কিছুদিন থেকে ওই এলাকায় পুকুর খননের কাজ চলছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) সমর কুমার পালের নেতিত্বে এ ভ্রাম্যমান পরিচালনা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমানের নিবার্হী ম্যাজিট্রেট ৬টি ভেকু মেশিন জব্দ করেন।স্থানীয় কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, গত এক মাস আগে ৪নং দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু আমার তিন ফসলি জমি লিজ দিতে না চাইলেও জোর করে দখল করে পুকুর খননের কাজ শুরু করে। আমি তাকে বলতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার
লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমন ভাবে এলাকার প্রায় দুইশতাধিক কৃষকের জমি সে দখল করে পুকুর খনন করে চলেছেন। কোন আইনের তোয়াক্কা না করে নিজের ক্ষমতায় সে একক ভাবে এসব কার করে চলছে। স্থানীয় ভাবে চেয়ারম্যানের সাথে দুইবার বসার কথা বললে সে কৃষকদের কোন পাত্তা না দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। পরে স্থানীয় কৃষকসহ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা আমরা প্রায় অসহায় দুইশতাধিক কৃষক ফসলি জমি রক্ষা পেলাম। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সমর কুমার পাল বলেন, গত একমাস আগে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের আবাদি জমি স্থানীয়
প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা স্থানীয় ভাবে এমনকি আইনশৃঙ্খলা সভায় এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনায় করেছি। কোন কিছুতেই পুকুর খনের কাজ বন্ধ করতে পারছিলাম না। এমন অভিযোগের পেক্ষিতে সরজমিনে উজেলার তরিপতপুর এলাকায় গিয়ে পুকুর খননে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে সেখানে কৃষকদের সহযোগিতায় পুকুর খনন বন্ধ করা হয়। যার ফলে রক্ষা পেয় দুইশত পরিবারের ফসলি জমি।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে