1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দু’দিনে পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঠাঁই কেড়েছে তিস্তা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০৮ জানয়ারী ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন

দু’দিনে পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঠাঁই কেড়েছে তিস্তা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ জুলা, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারির একদিন পরই কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। পানিবন্দি পরিবারগুলো ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে জেলার ৫ উপজেলায় তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়িসহ ফসলি খেত ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে লালমনিরহাটে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কমতে শুরু করে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। যার স্বাভাবিক মাত্রা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। গত দুই দিন ধরে লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ৫ উপজেলায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন।

লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আঙ্গরপোতা,সর্দ্দার পাড়া ও কাতিপাড়ায় তিস্তার পানি প্রবেশ করে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এ সময় বালু পড়ে ৩৫ একর ধানখেত নষ্ট হয়েছে।

সর্দ্দার পাড়ার গৃহহারা জহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো দিন ভাবিনি হামার এদিক তিস্তার পানি আসি সব ভাসি নিয়া যাইবে। ঘরে থাকা চাউল, ধান, বাদাম, হাঁস-মুরগি নদীতে ভাসি গেছে।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গীমারি ইউনিয়নের তিস্তানদীর চর ধুবনীর এক বাঁধ গিয়ে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পাটিকাপাড়া ও সিন্দুর্না ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক পারিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব পরিবার স্থানীয় বাঁধের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

পাটগ্রাম উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার জানান, এই বন্যায় পাটগ্রাম উপজেলার ৫৫ হেক্টর আবাদি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দহগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, তিস্তার পানি হঠাৎ করে প্রবেশ করে ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় দুইশতাধিক পাকা ঘর নদীর স্রোতে ভেসে গেছে। বালু পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশল রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, নতুন করে পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ১২০ মেট্রিক টনসহ মোট ২৪৪ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী ও নগদ ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলায় ত্রাণ বিরতণ অব্যাহত রয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST