বিশেষ প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী হয়েও স্বপদে বহাল থাকা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বর্তমান অবস্থা ও তার চাকুরীর সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা-১৭ এর উপসচিব লুুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ কাগজপত্র চাওয়া হয়। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাউকের সাবেক কর্মচারী ইকবাল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠিয়ে সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বর্তমান চাকুরীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
স্মারণে বলা হয়, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক কর্মচারী ইকবাল হোসেনের পক্ষ থেকে দুদুকের চার্জশিটভূক্ত আসামী সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আদেশ যথাযথভাবে প্রয়োগ না করা ও দুর্নীতির ব্যাপকতা বৃদ্ধির অভিযোগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, রাউকের সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের অভিযোগের বিষয়ে কি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে অবহিতকরণ। দুর্নীতি দমন দুদকের চার্জশিটভূক্ত রাউকের সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা? তার চাকুরীর বর্তমান অবস্থা কী? দুদুকের মামলায় সর্বশেষ অবস্থা
কী এবং রাউকের সহকারী প্রকৌশলীদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার যাবতীয় কাগজপত্র (প্রমানসহ ) প্রেরণ করতে হবে। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান আনওয়ার হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তা প্রদান ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, নাম না প্রকাশ করার শর্তে রাউকের একাধিক কর্মচারী জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ছুটিতে আছেন সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান। তবে তিনি মাঝে মধ্যেই এমনভাবে অনুপস্থিত থাকছেন। যদিও তার ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার মোবাইল
ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তিনি এর আগে খবর ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছিলেন, এখন আমার বিরুদ্ধে আর কোন মামলা নেই। তাহলে রিট পিটিশন কেন করেছিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী হয়েও স্বপদে বহাল রয়েছেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান। শুধু তাই নয় তিনি ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প পরিচালক হয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে খবর ২৪ ঘণ্টায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এম/কে