খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক নারীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষই সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাতে চর কাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- ওই গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আবু জাকের, আবু জাকেরের ছেলে জহির উদ্দিন, আবুল কাসেমের ছেলে আবদুল মান্নান ও আবুল কাসেমের মেয়ে নাজমা আক্তার। গুলিবিদ্ধ চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় সময় এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় মোকারম ও আকরাম গ্রুপ।
এর জের ধরে শনিবার রাতে চরকাউনিতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আকরামের পোল্ট্রি ফার্মের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক টমাস বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সংঘর্ষকারীরা পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধদের অভিযোগ, স্থানীয় মোকারম, আবু ছায়েদ, পেয়ার আহমদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের মুরগি ফার্মে ও বসত ঘরে ভাঙচুর করেছে।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ-পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এরা উভয়ে সন্ত্রাসী। কয়েক মাস আগে এদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে। নিজেদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক নারীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুরগি ফার্ম বা বসত ঘরে ভাঙচুরের কোন আলামত আমরা পায়নি।
খবর২৪ঘন্টা/নই