1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দিল্লিতে মোদি-মমতা বৈঠক - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

দিল্লিতে মোদি-মমতা বৈঠক

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ সেপটেম্বর, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা  ডেস্ক: প্রায় আড়াই বছর পরে একান্ত বৈঠক হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিকেলে দিল্লিতে তাদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। এ উদ্দেশে মঙ্গলবার কলকাতা ছাড়ছেন মমতা।

এ দিকে বৈঠকের ধরন নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বিরোধীরা বলছেন, এই বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে রাজনৈতিক বিষয়াদি থাকবে। অন্যদিকে মমতার দল বলছে, একদমই সরকারি সফর।

মমতার সঙ্গে মোদির শেষ একান্ত বৈঠক হয় ২০১৭ সালে ১৯ এপ্রিল দিল্লিতে। গত বছর ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে তাদের শেষবার দেখা হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। পরে শান্তিনিকেতনেই শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির একান্ত বৈঠক হয়। মমতাকে সেখানে ডাকা হয়নি।

আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, অমীমাংসিত কিছু বিষয় ও আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়েই এবার মোদির কাছে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সময়ে মোদি-মমতা সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটের কর্মসূচিতে যোগ দিতে মমতা একাধিকবার দিল্লি গেলেও সরকারি কাজে দীর্ঘদিন যাননি। এমনকি মে মাসে মোদির শপথেও ছিলেন না।

আরও বলা হচ্ছে, ঘোষিতভাবেই বিভিন্ন সরকারি বৈঠক এড়িয়ে গেছেন তৃণমূল নেত্রী। এমনকি দেশে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ চলছে বলে দুদিন আগেই মন্তব্য করেছেন।

একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির নিয়ে রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় বর্তমানে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন মমতা। পাশাপাশি অর্থ ভান্ডারেও টান পড়েছে। এ কারণে মোদির সঙ্গে বৈঠক রাজনৈতিকভাবেও অর্থবহ হতে পারে।

সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, রাজ্যের নাম পরিবর্তনের ইস্যুটিও আল‌োচিত হতে পারে। শাসক দল তৃণমূল চায় রাজ্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ’ থেকে বদলে ‘বাংলা’ করা হোক।

মমতার কাছের লোকেরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন কাজ থাকে। অনেক দিন জমে থাকা সেই সব কাজ নিয়েই এবারের সাক্ষাৎকার। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ খোঁজা ঠিক নয়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও বলছেন, মমতার দিল্লি সফরে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। সবটাই সরকারি।

তবে এই সফর নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, “আমরা সবাই জানি যে লোকসভা নির্বাচনের সময় এবং তারপরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তিনি কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। তিনি কখনো ফেডারেল কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধা রাখেননি এবং এমনকি এ কথাও বলেছিলেন, তিনি অনুভব করেন না যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদিজিকে সম্মান করা দরকার।”

সঙ্গে যোগ করেন, “এখন হঠাৎ কেন এবং কী কারণে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন তা একেবারেই ওপেন সিক্রেট । এর মাধ্যমে তিনি যে আসলে একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ তাও বোঝা যাচ্ছে। এটা প্রমাণিত যে  তিনি তার উদ্দেশ পূরণ করতে যে কোনো দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারেন এবং কাজ উদ্ধার হয়ে গেলেই তা ভুলে যেতে পারেন।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মাথা বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই সময়টা বেছে নেওয়ায়। কানে টান পড়তেই কি তিনি মাথা বাঁচাতে চাইছেন?’’ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘ঘোষিত কারণের বাইরে আর কোনো বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতা তুলবেন কি না, সেটা কি জানা যাবে?’’

মঙ্গলবার মোদির জন্মদিন। তার জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছার পাশাপাশি শারদীয় উপহার নিয়ে যেতে পারেন মমতা। উপহার পেতে পারেন কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।  ব্যক্তিগতভাবে দু’-একজনের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন মমতা।

খবর২৪ঘণ্টা, এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST