খবর২৪ঘন্টা ডেস্কঃ
৭ দফা দাবি মেনে না নিলে দেশে যে অনিশ্চয়তা, অরাজকতা সৃষ্টি হবে, তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, সরকার আগামীতে যে নির্বাচন করতে চাচ্ছে সেখানে বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে এনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যখন বেগম খালেদা জিয়া ও ২০-দলীয় জোট বয়কট করেছিল, তার জন্য সেই নির্বাচন হয় নাই। বেগম জিয়া ও ২০ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী নির্বাচনও অংশগ্রহণমূলক হবে না, এদেশের মানুষ হতে দেবে না। তাই “গণতন্ত্রের মাতা” খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এবং মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে যেতে চাই। এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে সাত দফা দাবি তা মেনে নিয়ে এদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আহব্বান জানাচ্ছি। আর তা যদি তা না হয় তাহলে দেশে যে অরাজকতা, অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে তার জন্য সরকারকেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’
মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষেদর সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।
খবর২৪ঘন্টা / সিহাব