1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দগ্ধ হয়ে ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে পাবনার কলেজ ছাত্রী মুক্তির মৃত্যু - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০৮ জানয়ারী ২০২৫, ১১:১ পূর্বাহ্ন

দগ্ধ হয়ে ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে পাবনার কলেজ ছাত্রী মুক্তির মৃত্যু

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮

পাবনা প্রতিনিধি: অবশেষে ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে মৃত্যুর কাছে হার মানলো কলেজ ছাত্রী মুক্তি খাতুন (১৮)। আর এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যেন জীবন থেকে একেবারে মুক্তি পেলো সে। গত ১৯ আগস্ট প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে দগ্ধ হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলো মুক্তি। সোমবার মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মুক্তি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে। তিনি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নাগডেমরা গ্রামে মুক্তির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছার পর থেকে বাবা-মা আর স্বজনদের মাঝে চলছে আহাজারী আর কান্নার রোল। তাদের স্বান্তনা দিতে পারছেনা প্রতিবেশিরা। মুক্তির বাবা মোজাম্মেল হক নিরবে চোখের পানি ফেলছেন। বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। যারা পুড়ায়া মারছে তারা যেন কঠিন শাস্তি পায়। মা নাজমা খাতুন বুক

চাপড়িয়ে আহাজারী করছেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে জানান, ওই সময় শয়তানরা মুক্তির গায়ে আগুন ধরায়া দিল। সে বাঁচতে চিৎকার করছিল। কিন্তু কেউ আগায়া যায় নাই। শয়তানরা ধরা না পড়লি মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না।
৫/৬ জন এলাকাবাসী ও নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ এর সাথে আলাপকালে তারা জানান, ছালাম গংরা খুবই সন্ত্রাসী প্রকৃতির। মাঝেমধ্যেই মানুষকে হয়রানী ও মারধর করে। এর আগেও এরকম ঘটনা কয়েকবার ঘটিয়েছে। এই ঘটনার পরও তারা মুক্তির পরিবারকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং মুক্তিকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

থানায় দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) মিয়া আশিস বিন হাসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানাল দখলকে কেন্দ্র করে নাগডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক গংদের সাথে একই গ্রামের আব্দুস ছালাম গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৩১ জুলাই দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় পাল্টপাল্টি দু’টি মামলা হয়। এ মামলায় উভয় পক্ষই জামিনে বের হয়ে আসে।
জামিনে বের হওয়ার পর প্রতিশোধ পরায়ন ছালাম গং তার লোকজন নিয়ে গত ১৯ আগস্ট সকাল দশটায় মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মোজাম্মেলের মেয়ে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রী মুক্তি খাতুন বাধা দিতে গেলে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ছালাম গং।

এতে মুক্তির বুক থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত আগুনে পুড়ে ঝলসে যায়। মুক্তিকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সোমবার মধ্যরাতে মৃত্যুর কাছে হার মানেন মুক্তি।
এরপর পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, এএসপি (সার্কেল বেড়া) মিয়া আশিস বিন হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ২ বান্ডিল টেউটিন ও নগদ ৬ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় মোজাম্মেল হক বাদি হয়ে ছালাম সহ ৩২ জনকে আসামী করে ১৯ আগস্ট সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বাকি আসামীকে গ্রেপ্তারে সচেষ্ট আছে। আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকে দিয়ে মৃত্যুর আগে মুক্তির জবানবন্দি রেকর্ড করিয়েছি। জবানবন্দিতে সে বলে গেছে কারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী।
এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST