খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে খুলনা, যশোর, নড়াইল, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট চলছে। ঘোষণা ছাড়া এই ধর্মঘট চলায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
যশোরের ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে। অনেক যাত্রী বাস স্ট্যান্ডে এসে ফিরে যাচ্ছেন। বাস চলাচল বন্ধ আছে ঝিনাইদহের সব রুটে। ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস বন্ধ থাকায় মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহনে করে চলাচল করছেন যাত্রীরা। বাস চলাচল বন্ধ আছে, নড়াইলের বিভিন্ন রুটে। নতুন আইন কার্যকরের ঘোষণার পর চালকরা নিজেরাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ঝিনাইদহে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে স্থানীয় বাস শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে চালকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না চাকুরিজীবীসহ অন্যান্য সাধারণ যাত্রীরা। স্থানীয় সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বাস চালকরা নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে মেহেরপুরে আন্তঃজেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন চালকরা। ফলে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর মুজিবনগর সড়কে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আকস্মিক বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মেহেরপুর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চালকরা। তারা সড়ক পরিবহন আইনের বেশ কিছু ধারা সংশোধন চান। এটা ইউনিয়নের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আগামী ২১ নভেম্বর পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসবেন। এ সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এমকে