দ্বিতীয় দফার লকডাউনে যানবাহন ও মানুষ চলাচল কম থাকলেও তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে মানুষ ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল বেড়েছে। বুধবার শুরু হওয়া তৃতীয় দফার লকডাউনের দ্বিতীয় দিন রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি মানুষের চলাচল ছিল। রিক্সা, অটোরিক্সা ও সিএনজিও বেশি চলেছে। এদিন নগরের মধ্যেও মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তায় প্রাইভেট যানবাহনও ছিল বেশি। আবার অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্য চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাইরে থেকে রোগী রাখতে আসা এ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেরার সময় যাত্রী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী শহর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া এ্যাম্বুলেন্সগুলোর ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নগরবাসী বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটু নজরদারি করলেই বিষয়টি হাতেনাতে ধরা যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসে করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য প্রথম দফায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের মুখে লকডাউন শিথিল করতে বাধ্য হয় সরকার। ওই সময় বিভাগীয় শহরগুলোতে ইন্টারসিটি বাস চলাচলের অনুমতিও দেয়া হয়। তাই সেই লকডাউন বেশি কার্যকর ছিলনা। এরমধ্যে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হার বেড়ে গেলে আবার দ্বিতীয় দফায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। ২য় দফার লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে পুলিশের পাশপাশি জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। ছোট ছোট যানবাহনও চলতে দেয়া হয়নি। ২০ এপ্রিল শেষ হয় দ্বিতীয় দফার লকডাউন। তৃতীয় দফার লকডাউনে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন
চলে যায়। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিন বেশি যানবাহন ও মানুষের চলাচল ছিল। এদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মার্কেট খোলা ছিল। নগরের মধ্যেও অন্যতম প্রধান মার্কেট আরডির কিছু দোকান খোলা ছিল। তবে তেমন ক্রেতা ছিলনা। পাড়া-মহল্লায় মানুষের আনাগোনা আরো বেশি ছিল। সিএনজি ও অটোরিক্সায় গাদাগাদি করেই যাত্রী আনা-নেওয়া করতে দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির তেমন তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি চালক ও যাত্রীদের।
এদিকে, লকডাউনের মধ্যেই নগরের সাগরপাড়া এলাকায় দিনের বেলা ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়। যদিও আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে দিনের বেলা নির্মাণ সামগ্রীর ট্রাক চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে। নিয়মের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ কাজ করছে তারা। শুধু ওই এলাকাতেই নয় বিভিন্ন এলাকা এ চিত্র দেখা যায় বলে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এস/আর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।