নিউজ ডেস্ক: তুরাগ নদীর সীমানা নির্ধারণী পিলার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে স্থাপন করা হয়েছে- এমন ৬২ পরিবারের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) আবেদনের নিষ্পত্তি করতে হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ (রোববার) আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাহাদ মাহমুদ। অন্যদিকে তুরাগের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, রাজধানী তুরাগ নদীর সীমানা রক্ষায় ২০০৯ সালে হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। আদালতের রায় অনুসারে বিআইডব্লিউটিএ ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) ও রিভিশনাল সার্ভের (আরএস) ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা জরিপ করে সীমানা পিলার স্থাপন করে।
নদীর সীমানা নির্ধারণ করে স্থাপিত এসব পিলার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে -এমন দাবি করে গত ২৭ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করেন মো. জোনায়েদ আহম্মেদসহ ৬২ পরিবার।
আবেদনের ফল না পেয়ে বিআইডব্লিউটিএর পিলার স্থাপন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করে ওই ৬২ পরিবার। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ (রোববার) এ আদেশ দেন।