বিশ্ব মাতাচ্ছে শাকিব খানের ছবি ‘তুফান’। যেখানে মুক্তি পাচ্ছে সেখানে কোনো না কোনো রেকর্ড গড়ছে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে দুবাই, বাহরাইন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ ১৭টি দেশে সাফল্যের সঙ্গে চলছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’।
তুমুল উন্মাদনার মধ্যে শুক্রবার ‘তুফান’ মুক্তি পেল পশ্চিমবঙ্গে। সেখানকার ৪৭টির মতো সিনেমা হলে চলছে ব্লকবাস্টার হিট এ ছবি। তুফান মুক্তি উপলক্ষে কলকাতায় বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়। যেখানে শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও ছিলেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, মহেন্দ্র সনি। ওপারের গণমাধ্যমকর্মীরা শাকিবকে পেয়ে ঝেঁকে ধরেন।
সেখানে শাকিব জানান, ইতোমধ্যে ৬-৭ টি দেশে পোস্টার ছাড়াই হাউজফুল হয়েছে ‘তুফান’র শো। ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের ছবির তালিকায় সেরা চার-এ চলে এসেছে বাংলা সিনেমা। নায়কের কথা, ‘এটাই প্রমাণ করে আমাদের বাংলা সিনেমা কতটা এগিয়ে যাচ্ছে। শাকিব খান জোর গলায় বলেন, জয় হোক বাংলার জয় হোক।
ঢালিউড কিং বলেন, ওপার-এপার বাংলা হোক, এই তুফান থামবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি জানিয়ে দেবে যে হলিউড, বলিউড, তামিলের সাথে; পৃথিবীর বিখ্যাত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সাথেও আমরা টপ চার্টে আছি, পিছিয়ে নেই।
শাকিব খান বলেন, ‘দুই বাংলার দারুণ কোলাবরেশনই বলে দিচ্ছে আমরা আর পিছিয়ে নেই। যার প্রমাণ ‘তুফান’ সিনেমা। ত্রিশ থেকে চল্লিশ কোটি বাংলা ভাষার মানুষ পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। সংখ্যার দিক থেকে আমরা পিছিয়ে নেই। ভাষাগত দিক থেকে এর চেয়ে অনেক কম জনসংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ, মালায়লাম, পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আজ অনেক দূর এগিয়ে। সুতরাং আমরা কেনো পিছিয়ে থাকবো। অনেকদিন কলকাতায় বড় কোনো বাংলা সিনেমা হচ্ছে না। এই চর্চাটা হয়ত উঠে গেছে। বলতে চাই, আমরা যারা বাংলায় থাকি, বাংলাকে ভালোবাসি, তাই আমরাও আমাদের বাংলা সিনেমা দেখবো।
সংবাদ সম্মেলন শেষে কলকাতার সাউথ সিটি মলে এক প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হাজির হয়েছিলেন মধুমিতা সরকার, ইধিকা পাল, কৌশনী, বনি সেনগুপ্ত, অনিন্দ্য চাট্যার্জি, দর্শনা বণিক, সৌরভসহ ওপার বাংলার এক ঝাঁক তারকা শিল্পী।
প্রিমিয়ার শেষে অনিন্দ্য বলেন, তুফান এই সময়ে দুই বাংলার সবচেয়ে সেরা কমার্শিয়াল সিনেমা। তুফান দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এতদিন শুধু শাকিব খানের তারকাখ্যাতির গল্প শুনেছি। আজ তার সিনেমা দেখে ফ্যান হয়ে গেলাম।
ইধিকা পাল বলেন, তুফান আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শাকিবের যে প্রেজেন্টেশন আমি জাস্ট ভাবছিলাম কত পরিশ্রমই না তাকে করতে হয়েছে। সে নিজেকে উৎরে দিয়েছে। পুরো টিমকে অভিনন্দন। কলকাতার মানুষ তুফানকে বরণ করে নিক।
কৌশানী বলেন, বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ওখানকার মানুষ শাকিবকে রজনী কান্তের মতো ভালোবাসেন। আমি শুনেছি ওখানে তুফান ব্লকবাস্টার হয়ে গেছে। ছবি দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমার বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গেও তুফান সফল হবে।
বিএ.