ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইগারদের তিন রানে হারিয়েছে লঙ্কানরা। এতে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছে সফরকারীরা।
সোমবার (৪ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২০৩ রান তুলতে পারে শান্ত-লিটনরা। এতে ৩ রানের জয় পায় লঙ্কানরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় বলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ১১ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাওহীদ হৃদয় আউট হন ৮ রান করে।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি টাইগার অধিনায়ক। ২২ বলে ২০ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শান্ত আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন দেশ সেরা এই ফিনিশার ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিষিক্ত জাকের আলী।
ফিফটি পূরণের পর বেশি সময় পিচে থাকতে পাইনি মাহমুদউল্লাহ। ৩১ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন অভিষিক্ত জাকের। ২৫ বলে ফিফটি তুলে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে জাকের। ১১ বলে ১৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী।
শেষ দিকে ৩৪ বলে ৬৮ রান করে জাকের আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। ২ বলে ৪ রান করে ম্যাচে রোমাঞ্চকর করলেও শেষ পর্যন্ত ৩ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা ও বিনুরা ফার্নান্দো দুই করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও থিকশানা ও পাথিরানা একটি করে উইকেট নেন।
আইসিসির মাস সেরার দৌড়ে জয়সওয়াল
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলে লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। পরের বলেই এই ডান হাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে ভালো শুরু এনে দেয় শরিফুল। ফার্নান্দোর বিদায়ের পর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন কামিন্দু মেন্ডিস।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৪ বলে ১৯ করেন তিনি। সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে লঙ্কানরা। ২৯ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস।
অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন সামারবিক্রমাও। ৪৩ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর তাণ্ডব শুরু করে চারিথ আসালাঙ্কা।
শেষ পর্যন্ত আসালাঙ্কার ২১ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস এবং সামারাবিক্রমার ৪৮ বলের অপরাজিত ৬১ রানে ভর করে তিন উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। এতে ২০৭ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
বিএ..