খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৩য় সেমিস্টার এর ছাত্র সাইফুল্লাহ তালুকদার মহসিনের মৃত্যুর ৩ মাস পর কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আজ সকালে আদালতের নির্দেশে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
গত ২৩ এপ্রিল রাত ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আবাসিক হোস্টেলের ৬ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করার পর লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।
পরবর্তীতে ৭ জুন মহসিনের বাবা কেন্দুয়া উপজেলার বলাই শিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিক বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম কোর্টে মামলা করলে আদালত মামলাটি সিআইডির হাতে হস্তান্তর করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতেই আজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ বিন কাশেমের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
মহসিনের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিকের ভাষ্য, তিনি ২৩ এপ্রিল রাত দেড়টায় সংবাদ পান ছেলে হোস্টেলের ৬ তলা ভবনের বেলকনি থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। পুলিশ সুরুতহাল রিপোর্ট করলেও তা জানতে চাইলে দেয়া হয়নি। অথচ মহসিনের গায়ে ৮ টি আঘাতের চিহ্ন ছিলো। পরবর্তীতে রুমমেটদের এক এক জনের কথার মধ্যে এক এক রকমের তথ্য সন্দেহ হলে আদালতে সুরুত হাল রিপোর্ট এর জন্য মামলা করি। আদালতের নির্দেশে রিপোর্ট হাতে পেয়ে জানা গেছে শরীরে ৮ টি আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তার মধ্যে গলার আঘাতটি মেজর। এর প্রেক্ষিতে আদালত সিআইডিকে মামলাটির দ্বায়িত্ব দেয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলণের আবেদন জানালে আদালত অনুমতি দেয়।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই